কত পেয়ে টিকলেন ৪৭তম বিসিএসের প্রিলি উত্তীর্ণরা?

পরীক্ষার হল
পরীক্ষার হল  © সংগৃহীত

৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে গতকাল। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১০ হাজার ৬৪৪ প্রার্থী। এই সংখ্যা বিগত কয়েকটি বিসিএসের মধ্যে সর্বনিম্ন। ফল প্রকাশের পর থেকেই চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে কাট মার্কস নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। কত নম্বর পেয়ে টিকলেন ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিতে উত্তীর্ণরা; কত ছিল এবারের সম্ভাব্য কাট মার্কস— তা জানতে এই বিসিএসের প্রিলিতে উত্তীর্ণ বেশ কিছু প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলেছে ‘দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস’। তাদের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী কাট মার্কস হতে পারে ৯০ এর ঘরে। যদিও এ নিয়ে রয়েছে ভিন্ন মত। 

কাইয়ুম আহমেদ নামে প্রিলিতে উত্তীর্ণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাবেক শিক্ষার্থী বলেন, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিসিএসের প্রিলিতে উত্তীর্ণ হলাম। এবারের প্রিলির প্রশ্ন বিগত কয়েক বিসিএসের মধ্যে বেশ কঠিন ছিল। আলহামদুলিল্লাহ, তবুও উত্তীর্ণ হয়েছি; যদিও নম্বর কম। কনফিউশন বাদে বিভিন্ন জায়গা থেকে উত্তর মেলানোর পর আমার নম্বর ছিল ৯৫। 

মো. শামীম নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমার মার্কস ১০০ এর আশেপাশে। কিছু কনফিউশন ছিল সেগুলো পিএসসির উত্তরের সাথে মিলে গেলে নম্বর কিছুটা বেশি হতে পারে। 

মো. সালমান নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানান, উত্তরপত্র মেলানোর পর তার নম্বর ৯০

হুমায়রা আঁখি নামে উত্তীর্ণ এক প্রার্থী বলেন, আলহামদুলিল্লাহ ৪৭তম প্রিলিতে উত্তীর্ণ হয়েছি। আমার মার্কস ছিল ৯৬। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। 

মো. আসাদুল্লাহ নামে এক উত্তীর্ণ আরেক প্রার্থী বলেন, আমার নম্বর ছিল ৯৬.৫। 

বিকাশ দাস নামে একজন বলেন, উত্তর মেলানোর পর আমার নম্বর ছিল ৯৩।

নাঈম উদ্দিন নামে আরেক প্রার্থী বলেন, আলহামদুলিল্লাহ ৯২.৫ পেয়ে ৪৭তম প্রিলি উত্তীর্ণ হয়েছি। 

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে লিখেছেন কেউ কেউ নাকি ৯০ এর কম পেয়েও টিকেছেন আবার কেউ কেউ ৯৫-১০০ নম্বরের বেশি পেয়েও টেকেনি। এ বিষয়ে বিসিএস নিয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা নিয়ামত আলী খান নামে একজন বলেন, ৪তম প্রিলির রেজাল্ট থেকে ভেবে দেখার আছে অনেক কিছু। অনেকেই দাবি করছেন, ১০০ এর বেশি পেয়েও প্রিলিতে কোয়ালিফাই করেননি, আবার সেখানেই অনেকে দাবি করছেন ৯২ পেয়েও কোয়ালিফাই করেছেন। এখন প্রশ্নটা হচ্ছে, এই নম্বরটা তারা কীভাবে নির্ধারণ করলেন? গতানুগতিক অফলাইন বা অনলাইন কোচিং এর প্রশ্নপত্র সমাধানের মাধ্যমে নিশ্চয়ই। 

তিনি আরও বলেন, গলদটা এখানেই, এই বিসিএসের প্রিলির প্রশ্নপত্রে ১০-১২টা প্রশ্ন নিয়ে ব্যাপক কনফিউশন ছিল, কিন্তু সেখানেই অনেকে নিজেদের যুক্তি অনুসারে একটা উত্তর ফিক্সড করে সমাধান দিয়েছে। হয়ত পিএসসি অন্য উত্তর গ্রহণ করেছে। এভাবে অসংখ্য শিক্ষার্থীর স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। 

জানা গেছে, একজন প্রার্থী পাশ করবেন না ফেল করবেন তা নির্ধারিত হয় কাট মার্কসের মাধ্যমে। বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় যতজন প্রার্থী পাস করানো হবে, তাদের মধ্যে সর্বশেষ প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বরই হলো ‘কাট মার্কস’।

সরকারি কর্ম কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিসিএসের কাট মার্কস নির্ধারিত হয় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা, প্রার্থীরা প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় কেমন করেছেন এসব বিষয় দেখে। এছাড়া দ্রুত সময়ের মধ্যে বিসিএস শেষ করার তাগাদা থেকেও কাট মার্কস নির্ধারণ করা হয়। ফলে প্রতিটি বিসিএসের কাট মার্কসই ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। 

৪৭তম বিসিএসের কাট মার্কস কত ছিল জানতে চাইলে পিএসসির উচ্চ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এটাতো আসলে ডিসক্লোজ করার নিয়ম নেই। তাই এটি প্রকাশ করতে চাই না। আসলে প্রতিটি বিসিএসে নানা বিষয় বিবেচনায় নিয়ে কাট মার্কস নির্ধারণ করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ