পরীক্ষার আগে প্রশ্ন না দেয়ায় ঘটেছিলো মারধরের ঘটনা

মারধরের শিকার জাবি শিক্ষক
মারধরের শিকার জাবি শিক্ষক  © টিডিসি ফটো

সম্প্রতি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীর হাতে মারধরের শিকার হয়েছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। এই ঘটনায় আদালতে পৃথক দুইটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক আতিকুর রহমান। মামলায় আসামি করা হয় মারধরের সঙ্গে জড়িত পাঁচ শিক্ষার্থী ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে।

মামলার এজহারে বলা হয়, গত ১০ এপ্রিল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি কফিশপে ডেকে নিয়ে তাকে মারধর করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। দুটি মামলায় লিমা আক্তার, শায়েখ আফসার ফাহিম, দীপঙ্কর দাশ, হাইমিন আল মঈদ ও তানজিব ইসলাম মিথিল এই পাঁচ শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত ছিল বলেও জানান আতিকুর রহমান। তবে তিনি ওই ৫ শিক্ষার্থীকেই শনাক্ত করতে পেরেছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, লিমা আক্তার তার কাছে পরীক্ষার প্রশ্ন চেয়েছিল। তাতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বাকি অভিযুক্তদের ডেকে হেনস্তা করা হয়েছে তাকে।

মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আবু নোমান এম আতাহার আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, আহত অবস্থায় তাকে প্রক্টরের কাছে নিয়ে যাওয়া হলেও ওই শিক্ষকের চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে তিনি একটি কক্ষে আটকে রাখেন তাকে। এমনকি তিনি অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের হেনস্তার ভিডিও ভাইরাল করার অনুমতি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করছেন আতিকুর রহমান।

আরও পড়ুন- ক্ষমা চেয়েছেন ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি 

গত ১১ এপ্রিল শিক্ষক আতিকুরের কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের এই শিক্ষক নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষক আতিকুরকে গালাগালি করছিলেন কয়েকজন। পরে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা আতিকুরকে মারধর করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যায়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বরখাস্ত করা হয়। শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ