এক দশকে প্রচলিত ধাচের ৪০ শতাংশ পেশা বিলুপ্ত হয়ে যাবে!

  © টিডিসি ফটো

স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ‘শিল্প ও শিক্ষায়তনের মধ্যকার দক্ষতার পার্থক্য হ্রাসকরণ’ শীর্ষক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এসইউবি)-এর উদ্যোগে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর স্কলার্স ইন মিলনায়তনে ‘শিল্প-শিক্ষায়তন সংযোগ উন্নয়ন’ শীর্ষক বহুপর্ববের বক্তৃতামালার আওতায় ‘শিল্প ও শিক্ষায়তনের মধ্যকার দক্ষতার পার্থক্য হ্রাসকরণ’ বিষয়ক এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

এতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এসিআই লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম. আনিস উদ দৌলা। স্টেট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক এম. শাহজাহান মিনার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অংশীজন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

দেশের শিল্প ও ব্যবসায় খাত ক্রমশই সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং তজ্জন্য দক্ষ জনবলের চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু দক্ষ জনবলের সে চাহিদা পূরণে দেশের উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলো কতটুকু সক্ষম, তা নিয়ে অহরহই প্রশ্ন উঠছে। আর সে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের যথার্থতা উপলব্দি করে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ তার শিক্ষাদান কার্যক্রমে শিল্পের প্রকৃত চাহিদাকে সমন্বয় ও আত্মস্থকরণের উদ্যোগ নিয়েছে।

তার অংশ হিসেবে শিল্পখাতের নেতৃত্বস্থানীয় অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে তাদের অভিজ্ঞতাভিত্তিক পরামর্শ ও মতামত গ্রহণের লক্ষ্যে ‘শিল্প-শিক্ষায়তন সংযোগ উন্নয়ন’ শীর্ষক বহুপর্বের এ বক্তৃতামালার আয়োজন করেছে।

এর আওতায় শিল্প ও শিক্ষায়তনের মধ্যকার পার্থক্য হ্রাসকরণ’ বিষয়ের উপর আনিস উদ দৌলা তার বক্তব্য রাখেন। আনিস উদ দৌলা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন , প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশের কারণে আগামী এক দশকের ব্যবধানে বিশ্বের প্রচলিত ধাচের প্রায় ৪০ শতাংশ পেশা বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।

তিনি বলেন, তবে আশার কথা হচ্ছে, পাশাপাশি আবার নতুন কর্মেরও সু্যোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায়, আধুনিক কর্মবাজারের চাহিদা পূরণ করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিৎ হবে তাদের পাঠ্যক্রমকে শিল্পের চাহিদার সাথে সমন্বয় করতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ