সোতোকান কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপে ড্যাফোডিল ৫ শিক্ষার্থীর ৬ পদক জয়
- ড্যাফোডিল প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৫, ০৪:০২ PM , আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২৫, ০৫:৪৪ PM
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ৮ম সোতোকান কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫-এ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পাঁচজন শিক্ষার্থী ৬টি পদক জয় করেছেন।
১ থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এবং বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশন। প্রতিযোগিতায় দেশের প্রায় সকল জেলা এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩০০-এর অধিক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।
এই আয়োজনে ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা কুমিতে এবং কাতা বিভাগে অংশগ্রহণ করে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখেন। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ছাত্র আয়ন ভূঁইয়া, -৮৪ কেজি ওজন শ্রেণিতে কুমিতে বিভাগে স্বর্ণপদক এবং কাতা বিভাগে রৌপ্যপদক অর্জন করে প্রতিযোগিতার অন্যতম উজ্জ্বল মুখ হয়ে উঠেন।
পাবলিক হেলথ বিভাগের ছাত্র মো. তানভির খান, -৬৭ কেজি কুমিতে (পুরুষ) বিভাগে স্বর্ণপদক লাভ করেন। জার্নালিজম, মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের শিক্ষার্থী মার্শাল হাসান, -৪৫ কেজি কুমিতে বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে স্বর্ণপদক অর্জন করেন। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিস রায়াত শপনিল, +৮৪ কেজি কুমিতে বিভাগে রৌপ্যপদক অর্জন করেন। নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্রী মনিশা আক্তার বর্ষা, -৬৮ কেজি কুমিতে (মহিলা) বিভাগে ব্রোঞ্জপদক লাভ করেন।
মার্শাল হাসান বলেন, ‘৮ম সোতোকান কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে পেরে আমি সত্যিই দারুণ আনন্দ পেয়েছি। এই অভিজ্ঞতাকে আরও বিশেষ করেছে আমার স্যার-ম্যাম, বন্ধু-বান্ধবদের অসাধারণ সাপোর্ট। তারা যদি পাশে না থাকতেন, হয়ত আমি ভালো কিছু করতে পারতাম না। আর আমার কোচের দিকনির্দেশনা ও অনুপ্রেরণা না বললেই নয়। তিনি সবসময় আমাকে সঠিক পথে চালিয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি, সাপোর্ট আর পরিশ্রমই সাফল্যের আসল শক্তি। ইনশাআল্লাহ, আমি ড্যাফোডিলের হয়ে সামনে আরও ভালো কিছু অর্জন করব এবং একদিন আন্তর্জাতিক গোল্ড মেডেল নিয়ে আসব।’
মনিশা আক্তার বর্ষা বলেন, ‘পদক জয় করা আমার জন্য এক অভূতপূর্ব অনুভূতি। দীর্ঘদিনের পরিশ্রম, কঠোর অনুশীলন আর আত্মবিশ্বাসের ফল এই অর্জন। যখন আমার গলায় ব্রোঞ্জ পদক ঝুলেছিল, তখন মনে হচ্ছিল যে সব কষ্টই সার্থক। ভবিষ্যতে আমি আরও কঠোর পরিশ্রম করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজের অবস্থান শক্ত করতে চাই।’
মেয়ে হিসেবে এই খেলার আলাদা কোনো গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে চাইলে বর্ষা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন,‘হ্যাঁ, একজন মেয়ে হিসেবে আমার কাছে এই খেলার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রে মনে করা হয়, মেয়েরা শারীরিক খেলাধুলায় ছেলেদের থেকে পিছিয়ে। আমি চাই, এই ধারণা বদলাতে। কারাতে শুধু আত্মরক্ষার মাধ্যম নয়, এটি আত্মবিশ্বাস ও মানসিক দৃঢ়তারও পরিচয়। আমি চাই, আমার মতো আরও অনেক মেয়েরা যেন এই খেলায় এগিয়ে আসে এবং নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করে।’