নদী থেকে উদ্ধার লাগেজে মিলল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের খণ্ডিত মরদেহ

নদী থেকে উদ্ধার লাগেজ ও ইনসেটে ওমর ফারুক সৌরভ
নদী থেকে উদ্ধার লাগেজ ও ইনসেটে ওমর ফারুক সৌরভ  © সংগৃহীত

ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় একটি লাগেজ থেকে এক যুবকের শরীরের তিনটি খণ্ড ও পাশ থেকে বিচ্ছিন্ন মাথাসহ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (২ জুন) দুপুরে উপজেলার ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মনতলা সেতুর নিচে সুতিয়া নদীতে পড়ে থাকা লাগেজ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত যুবকের নাম ওমর ফারুক সৌরভ। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বিবিএর শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইগবাজ ইউনিয়নের তারাটি গ্রামে। তিনি পরিবারের সঙ্গে ঢাকার উত্তরা এলাকায় বসবাস করতেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মাইজবাগ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বোরহান উদ্দিন।

তবে নিহত সৌরভ রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রবিবার সকালে স্থানীয়রা গরু চরাতে এসে ব্রিজের নিচে সুতিয়া খালে একটি লাগেজ ও পাশে কাগজে মোড়ানো রক্তাক্ত মাথা দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাগেজ থেকে শরীরের তিনটি খণ্ড ও পাশ থেকে বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে র‍্যাগিং, ৩ ছাত্রলীগ কর্মীকে ইবি থেকে বহিষ্কার

সদর উপজেলার খাগডোহর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফয়জুর রহমান তুহিন বলেন, মানুষের একটি মাথা পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা আমাকে খবর দিলে আমি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাই।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইগবাজ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বোরহান উদ্দিন বলেন, সৌরভ পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় বসবাস করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএতে লেখাপড়া করত বলে খোঁজ নিয়ে জেনেছি। তাদের কেউ গ্রামে থাকে না। এর মধ্যে সৌরভের বাবা ঢাকা এবং ইলিয়াস নামে এক চাচা ময়মনসিংহ শহরে বসবাস করে বলে জেনেছি। তবে কেন বা কী কারণে ছেলেটা খুন হয়েছে তা এলাকার কেউ জানে না। খুনের ঘটনাটি পুলিশ আমাকে জানিয়েছে।

ঘটনাটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড জানিয়ে ময়মনসিংহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুল ইসলাম ফকির বলেন, যুবকটিকে হত্যার পর লাগেজে মাথা ছাড়া মরদেহ ভরে ব্রিজের ওপর থেকে পানিতে এবং পলিথিনে মোড়ানো মাথা পাটখেতের কাছে ফেলে যায় ঘাতকরা। লাগেজে তার শরীরের খণ্ডিত অংশের সঙ্গে কাঁথা-বালিশও পাওয়া গেছে। মরদেহের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে মেশিন দিয়ে গলা ও পা কাটা হয়েছে। নিহতের পরিচয় জানার পর অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।


সর্বশেষ সংবাদ