বিইউপির শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানি, কারাগারে শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটির শিক্ষক

  © ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) এক শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির সহকারী অধ্যাপক রশি কামালকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন তাঁকে কারাগারে পাঠানোর এই নির্দেশ দেন।

বিকেলে চার দিনের রিমান্ড শেষে রশি কামালকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালতে পল্লবী থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই সেলিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে হাজির করে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। 

অনলাইনে উত্ত্যক্ত ও ধর্ষণের হুমকির অভিযোগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঢাকার পল্লবী থানায় মামলা করেন ওই শিক্ষিকা।

এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে তাঁর একটি গবেষণা ইন্দোনেশিয়ান জার্নাল অব সোশ্যাল রিসার্চ নামক জার্নালে প্রকাশিত হয়। গত ১৭ মার্চ বাসায় অবস্থানকালে শিক্ষিকার ব্যক্তিগত ই-মেইলে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটি চেয়ে আসামি রশি কামাল তাঁর মেইল থেকে অনুরোধ করেন। তিনি শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন বলে পরিচয় দেন। শিক্ষকের অনুরোধে গবেষণাপত্রটি তাঁর মেইলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গবেষণাপত্রটি আসামি পড়েন এবং শিক্ষকার খুব প্রশংসা করে একটি কনফারেন্সে প্রকাশের জন্য যৌথভাবে গবেষণা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। 

শিক্ষকের অনুরোধে শিক্ষিকা তাঁর সিভি পাঠিয়ে দেন। পরবর্তীকালে শিক্ষিকা জানতে পারেন, ওই শিক্ষকের ডিপার্টমেন্ট এবং শিক্ষিকার ডিপার্টমেন্ট এক নয়। তাই শিক্ষিকা একত্রে গবেষণার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

এরপর গত ২৯ মার্চ রাত ১টা ৪ মিনিটে আসামি শিক্ষিকাকে ফোন দেন এবং যৌন হয়রানিমূলক কথাবার্তা বলে ফোন রেখে দেন। আসামি হোয়াটসঅ্যাপসহ মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিয়ে নিজেকে রশি কামাল পরিচয় দিয়ে আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৯ মার্চ রাত অনুমান ১টা ৪ মিনিট থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আসামির হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে শিক্ষিকার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে অশ্লীল যৌন হয়রানিমূলক কথাবার্তা বলে ধর্ষণ করার হুমকি দেন।

এ সময় হোয়াটসঅ্যাপে পর্নো ছবি পাঠান। আসামিকে এমন আচরণের কারণ জানতে চাইলে তিনি শিক্ষিকাকে গালিগালাজ করেন এবং নোংরা ছবি নেট দুনিয়ায় ছেড়ে দিয়ে মান-সম্মান ও সামাজিক মর্যাদাহানি করবেন বলে হুমকি দেন।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence