জেলে বসেই অপরাধ সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণে ক্যাসিনো খালেদ!

জেলে বসেই অবৈধ সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার দায়ে প্রথম গ্রেপ্তার  হওয়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। রাজধানীর মতিঝিল, রমনা, ফকিরাপুল, রামপুরা, পল্টন,খিলগাঁও, বাবাবো ও সবুজবাগসহ আশপাশের এলাকায় গড়ে তোলা অপরাধ জগত হাতছাড়া না করতে বিশ্বস্তদের নির্দেশনা দিচ্ছেন তিনি। তার নির্দেশমত কাজ করছেন আন্ডারওয়ার্ল্ডের ১৫ জন কিলার।

খালেদের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের পর খালেদ ধারণা করেছিলেন, দ্রুতই জামিনে মুক্ত হবেন তিনি। কিন্তু এখন তিনি বুঝতে পারছেন সহজে তার জামিন হচ্ছে না। তাই জেলে বসেই অপরাধজগেতকে টিকিয়ে রাখার পরিকল্পনা করছেন তিনি।  

এরইমধ্যে নির্দেশনা পেয়ে সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু করেছেন খালেদের ঘনিষ্ঠ আন্ডারওয়ার্ল্ডের ভয়ংকর ১৫ কিলার । তাদের কাছে রয়েছে খালেদের সব আগ্নেয়াস্ত্র। তারা আলোচিত সব হত্যা মামলার আসামি।  এই ১৫ ক্যাডারের হাতে রয়েছে শতাধিক আগ্নেয়াস্ত্র। এর মধ্যে ৪টি অত্যাধুনিক অভিজাত অস্ত্র একে-২২। অধিকাংশ অস্ত্রই চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। বাবর চট্টগ্রামে জোড়া খুনসহ ১৬টি মামলার

খালেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অস্ত্র মামলার তদন্ত করে র‌্যাব বলেছে, খালেদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের পদ পেয়ে এলাকায় বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলেন। অস্ত্রধারী এই বাহিনীর মাধ্যমেই তিনি অবৈধ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করতেন। ঢাকার মতিঝিল, আরামবাগ, ফকিরাপুল, শাহজাহানপুর, মুগদা, কমলাপুর, রামপুরা, সবুজবাগসহ আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন।

খালেদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত সোহরাওয়ার্দী জানান, বাবরের মাধ্যমে খালেদ অস্ত্র সংগ্রহ করত। বায়তুল মোকাররম মসজিদের উল্টোপাশে পল্টনে বাবরের এক বন্ধুর একটি বৈধ অস্ত্রের দোকান আছে। বৈধ অস্ত্রের আড়ালে সেখানেও চলে অবৈধ অস্ত্রের কারবার। বাবর তার কাছ থেকেও অস্ত্র নিয়ে খালেদকে দিয়েছে। একটি সূত্র জানায়, অস্ত্র ও ইয়াবার বিনিময়ে খালেদ ব্যাগভর্তি করে বাবরকে টাকা দিত। সেই টাকা নিয়ে বাবর বিমানে করে চট্টগ্রামে যেত। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর বাবর দুবাইয়ে পালিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টায় সরাসরি জড়িত ছিলেন। ১৯৮৯ সালে ফ্রিডম পার্টির নেতাদের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে হামলা হয়। ওই হামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী জাফর আহম্মদ মানিক, সৈয়দ নাজমুল মাহমুদ মুরাদ এবং তাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী খালেদ সরাসরি অংশ নেয়। পরে কৌশলে চার্জশিট থেকে খালেদের নাম বাদ দেয়া হয়। এই তথ্য জানিয়েছেন খালেদের দীর্ঘদিনের সহযোগী মোহাম্মদ আলী। সূত্র: যুগান্তর

 


সর্বশেষ সংবাদ