বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাবিতে ছাত্রশিবিরের সেমিনার
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৩ AM , আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৪ AM
বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে ‘বিজয়ের ৫৪ বছর: স্বাধীনতার আলোয় আগামীর নির্মাণ’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর ২০২৫) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজুল ইসলাম লেকচার হলে এ সেমিনার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও ডাকসু জিএস এস এম ফরহাদ। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও আপ বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি ও ডাকসু এজিএস মহিউদ্দিন খান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনিক সম্পাদক কাজী আশিক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাফে সালমান রিফাত বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস ও রাজনৈতিক বাস্তবতায় সত্যকে ধারণ করার চর্চা জরুরি। দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও তাদের প্রক্সি আওয়ামী লীগ বাঙালি জাতীয়তাবাদের নামে বাংলাদেশের জনগণকে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে শোষণ করেছে। মিথ্যা ন্যারেটিভের মাধ্যমে জাতিকে বিভাজিত করে রাখা হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, সাম্য, সামাজিক সুবিচার ও মানবিক মর্যাদার যে স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল, সেই রাষ্ট্র বারবার খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা ও বাসস্থানের মতো মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। গণতন্ত্র হত্যা, মৌলিক অধিকার হরণ এবং বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের বিজয় ছিল পাকিস্তানি শোষণ থেকে মুক্তি এবং ২০২৪ সালের জুলাই ছিল আধিপত্যবাদের কড়াল গ্রাস থেকে মুক্তির বার্তা। স্বাধীনতার আলোকে বাংলাদেশ গড়তে হলে দুর্নীতি, মাদক, রাজনৈতিক বিভাজনের ন্যারেটিভ এবং মিথ্যা ইতিহাস পরিত্যাগ করে সত্য, ন্যায় ও ইনসাফকে ধারণ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে এস এম ফরহাদ বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসনামলে ছাত্রশিবির বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজন করতেও নানা বাধার সম্মুখীন হয়েছে। সে সময় শতশত নেতাকর্মী গ্রেফতার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তিনি বলেন, শহীদরা যে লক্ষ্যকে সামনে রেখে নিজেদের জীবন দিয়েছেন সেটি আমরা স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও নিশ্চিত করতে পারিনি। এদেশের ক্ষমতাতে যারা গিয়েছিল তারা মুক্তিযোদ্ধারা যে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল সেটি নিশ্চিত না করে স্বৈরাচার হয়েছে, বাকশাল কায়েম করেছে, ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার আরেকটি সুযোগ পেয়েছি। ৭১ ও ২৪ এর শহীদদের ও গাজিদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে ইসলামী ছাত্রশিবির অগ্রগামী ভূমিকা রাখবে।