নতুন যৌথ কর্মসূচি ঘোষণা জামায়াতসহ ৭ দলের

সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী দলগুলো
সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী দলগুলো  © সৌজন্যে প্রাপ্ত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চূড়ান্ত সুপারিশমালার উপর প্রতিক্রিয়া ও অবিলম্বে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করে নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ কয়েকটি দল। বুধবার (২৯ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই দাবি জানায় দলগুলো। এ সময় নতুন কর্মসূচিও ঘোষণা করে দলগুলোর পক্ষ থেকে।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ৫-দফা দাবি আদায়ে ৩০ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের নিকট স্মারকলিপি প্রদান এবং আগামী ৩ নভেম্বর শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বৈঠক এবং বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে বৃহত্তর কর্মসূচির ডাক।

জামায়াত ছাড়াও দলগুলো হলো- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জাগপা। বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আবদুল কাদের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ইতোমধ্যেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রধান উপদেষ্টার নিকট জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশমালা জমা দিয়েছেন। বাস্তবায়নের উপায় হিসেবে সরকারকে তিনভাগে সুপারিশ করেছে ঐকমত্য কমিশন। এই সুপারিশের মধ্যে যে সকল বিষয় সংবিধান সংশ্লিষ্ট নয়- তা সরকার অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে করতে পারে। সংবিধান সংশ্লিষ্ট ৪৮টি বিষয় ও জুলাই জাতীয় সনদ সংক্রান্ত সরকার একটি আদেশ জারির পর জনগণের ম্যান্ডেট নেওয়ার জন্য গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। গণভোট ব্যতীত জুলাই জাতীয় সনদ আইনগত টেকসই ভিত্তি পাবে না। গণভোটের বিষয়ে সকলেই একমত হয়েছেন। আমরা মনে করি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে নভেম্বর মাসের মধ্যে গণভোট সম্পন্ন করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের সফল গণঅভ্যুত্থানের পর জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তি এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রের প্রয়োজনকে সামনে রেখে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও স্বৈরাচার ফিরে আসার সকল পথ রুদ্ধ করার প্রত্যয় নিয়ে কাজ শুরু করেন। গঠিত হয় বিভিন্ন সংস্কার কমিশন। কমিশনগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ১৬৬টি প্রস্তাবের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে আলোচনায় মিলিত হন। দীর্ঘ আলোচনার পর ৮৪টি প্রস্তাব সিদ্ধান্ত আকারে গৃহীত হয়। অনেকগুলো প্রস্তাবের সাথে দু/একটি রাজনৈতিক দল ভিন্নমত পোষণ করায় অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। 

সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাগপা ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি


সর্বশেষ সংবাদ