‘এনসিপির ২৪ দফার মধ্যে শিক্ষা ও গবেষণা ১০-১১ নম্বরে রাখায় ব্যথিত হয়েছি’

২৪ দফা ঘোষণা উপলক্ষ্যে এনসিপির সমাবেশ এবং অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন (ইনসেটে)
২৪ দফা ঘোষণা উপলক্ষ্যে এনসিপির সমাবেশ এবং অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন (ইনসেটে)  © সম্পাদিত

এনসিপির ২৪ দফার মধ্যে শিক্ষা ও গবেষণা ১০-১১ নম্বরে রাখায় ব্যথিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন। গবেষণা নিয়েও সুনির্দিষ্ট ঘোষণা আসেনি বলেও তিনি মনে করেন। তবে বাংলা, মাদ্রাসা, ও ইংরেজি মাধ্যমসহ বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থা ও পদ্ধতির যৌক্তিক সমন্বয়ের ঘোষণার প্রশংসা করেছেন তিনি।

রবিবার (৩ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন লেখেন, এনসিপির ২৪ দফার একটা লিংক একজন পাঠিয়ে একজন লিখেছে, ‘You may be interested in the NCP manifesto regarding education policy and research policy’। তাই শিক্ষা, গবেষণা ও স্বাস্থ্য বিষয়ের তিনটি দফাই আমি কেবল পড়লাম। তবে এখন শিক্ষা বিষয়ের ‘জাতি গঠনে শিক্ষানীতি’ নিয়েই আমার দুটো কথা। 

‘তারা ২৪ দফা দিয়েছে, সেখানে শিক্ষা ও গবেষণা হলো ১০ম ও ১১তম। খুবই ব্যথিত হলাম। এ দেশের সকল সমস্যার মূল হলো শিক্ষা। আর এ ২৪টা দফা দিয়েছে ছাত্ররা। যেখানে শিক্ষা ও গবেষণা হওয়ার কথা ১ ও ২, সেখানে ১০ ও ১১! Right now এরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে ম্যাটার্স, তাই এইটা নিয়ে my two cents দিচ্ছি’, যোগ করেন তিনি।  

অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন বলেন, ‘খুব সুন্দর সুন্দর কিছু কথা আছে, কিন্তু কোয়ান্টিফিকেশন নেই। অর্থাৎ শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়াবে বলেছে, কিন্তু ন্যূনতম জিডিপির কত বরাদ্দ দেবে, এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কমিটমেন্ট নাই। তবে শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন স্কেলের ব্যাপারে সুস্পষ্ট ঘোষণা আছে। আছে  বাংলা মাধ্যম, মাদ্রাসা ও ইংরেজি মাধ্যমসহ বিদ্যমান সব ধরনের শিক্ষার মাধ্যম ও পদ্ধতিগুলোর একটি যৌক্তিক সমন্বয়ের কথা।’

আরও পড়ুন: পানিতে ফেলার আগেই শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় সাজিদকে

এটিকে অসাধারণ ঘোষণা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর জন্য একটা শক্তিশালী শিক্ষা কমিশন করে বাংলাদেশের শিক্ষার একটি দার্শনিক পথ তৈরি করা দরকার, যার মাধ্যমে শিক্ষায় যে বৈষম্য আছে এটা কমানো যায়। এরপরই আছে গবেষণার কথা। সেখানেও নির্দিষ্ট কোন কমিটমেন্ট নাই।’

বিশ্বমানের কয়েকটি গবেষণা ইনস্টিটিউট তৈরি করে বিশ্বমানের পূর্ণকালীন ও গেস্ট গবেষক এনে দেশের ছেলেমেয়েদের গবেষণা করিয়ে বিশ্বমানের পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করার চেষ্টা করবে বলে আশা করেছিলেন অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বমানের গবেষক আনতে হলে সেই ইনস্টিটিউটে বিশ্বমানের থাকা খাওয়া ও বেতনের ব্যবস্থা করতে হবে। এরকম কোনো কমিটমেন্ট না দেখে আশাহত হয়েছি।’

তাঁর ভাষ্য, ‘দুটো বিষয়েই অনেক অস্পষ্ট কমিটমেন্ট আছে। আশা করি আরও সুস্পষ্ট quantified দফার মাধ্যমে মানুষকে বিশ্বাসযোগ্য দফা ঘোষণা করবে। এগুলো হলো আমার ইনস্ট্যান্ট প্রতিক্রিয়া।’


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!