যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা ভবনে হামলার ভিডিওতে যা দেখা গেল
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২১, ১০:০৭ AM , আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২১, ১০:১৭ AM
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করার জন্য অধিবেশন চলার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের শত শত সমর্থক আইনসভা কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটল-এ ঢুকে পড়ে। ভবনটি কার্যত কয়েক ঘণ্টা দখল করে রাখে ট্রাম্প সমর্থকরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানী ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১২ ঘণ্টার কার্ফু ঘোষণা করা হয়েছে। সহিংসতায় একজনের মৃৃত্যুর খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।
জো বাইডেন এ ঘটনাকে একটি ‘বিদ্রোহ’ বলে আখ্যায়িত করেন। আর ট্রাম্প একটি ভিডিও বার্তায় তার সমর্থকদের বাড়ি ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। তবে সহিংসতার পরও সিনেটে অধিবেশন শুরু হয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, আইন-প্রণেতারা যখন নভেম্বরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করার জন্য অধিবেশনে বসেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শত শত সমর্থক তখন ক্যাপিটল-এ ঢুকে পড়ে।
এর আগে দিনের শুরুতে হাজার হাজার ট্রাম্প সমর্থক ‘আমেরিকা বাচাও’ নামক একটি গণজমায়েতে অংশ নিতে ওয়াশিংটনে আসে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ জনসভায় ভাষণ দিয়ে জো বাইডেনের বিজয় অনুমোদন করার বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন। পরে সহিংসতার ঘটনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের ওপর হামলা’র ঘটনায় ‘কানাডিয়ানরা অত্যন্ত চিন্তিত।’
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট অ্যালবার্টো ফার্নান্দেজ জো বাইডেনের প্রতি তার সমর্থন জানিয়েছেন এবং সহিংসতার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভান ডুক সহিংসতার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন এবং কংগ্রেসের সদস্যধের প্রতি তার সমর্থন জানিয়েছেন। চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্টিয়ান পিনেরা ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পরিবর্তনের প্রয়াস’এর নিন্দা জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিস্টোরিকাল সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী ১৮১২ সালের যুদ্ধের পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে এই ধরনের আগ্রাসন হল। ১৮১৪ সালেওয়াশিংটনে অভিযান চালানের সময় ব্রিটিশ বাহিনী নির্মাণাধীন ক্যাপিটল ভবনে আগুন জালিয়ে দেয়।