সিরিয়ায় ৪৮ ঘণ্টায় ২৫০ হামলা ইসরায়েলের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৯ PM , আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১২ PM
সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পতন হওয়ার পর থেকেই গোলান মালভূমি পুরোপুরি দখল করার চেষ্টা শুরু করেছে ইসরায়েল।
এবার সিরিয়ার রাজধানী দামেক্সেও আকাশপথে হামলা চালাতে শুরু করল ইসরায়েল। বিবিসি ও এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
ইসরায়েল গত ৪৮ ঘণ্টায় কমপক্ষে ২৫০ বার বিমান হামলা চালিয়েছে সিরিয়ায়। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দামেক্সে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, সিরিয়ার কিছু সংবাদমাধ্যম দাবি করছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান দামেক্সসহ বেশ কিছু অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে। যদিও দামেক্সে হামলার অভিযোগ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।
বাশারের পতনের পর সিরিয়ার ওপর হামলা শুরু করায় আন্তর্জাতিক মঞ্চেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। যদিও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে ইসরায়েল সরকার।
সিরিয়ায় আকাশপথে হামলাকে সীমিত এবং সাময়িক বলে ব্যাখ্যা করেছে ইসরায়েল। নিজেদের নাগরিকদের রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ বলে দাবি তাদের। গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়ার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে তাদের কোনো যোগ নেই বলে দাবি নেতানিয়াহুর প্রশাসনের।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সিরিয়ায় কর্মরত ব্রিটেনের এক মানবাধিকার সংগঠনের তথ্য তুলে ধরে জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় সিরিয়ার ভূখণ্ডে আকাশপথে অন্তত ২৫০টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ওই প্রতিবেদন অনুসারে, সিরিয়ার সামরিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বেশির ভাগ অঞ্চলকে ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল। সিরিয়ার বেশ কিছু বিমানবন্দরেও হামলা হয়েছে।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েলের কাছে পরাস্ত হয় মিশর, সিরিয়া এবং জর্ডনের মিলিত বাহিনী। ওই সময়ে সিরিয়ার গোলান মালভূমি চলে যায় ইসরায়েলের দখলে।
পরবর্তী সময়ে অধিকৃত গোলান মালভূমির অনেকটাই প্রতিবেশী দেশকে ফিরিয়ে দেয় ইসরায়েল। তবে গোলান মালভূমির একটা অংশ অবশ্য নিজেদের দখলে রেখে দেয় তারা। সেখানে তৈরি করা হয় বাফার জোন। আমেরিকা ছাড়া দুনিয়ার অধিকাংশ দেশই আংশিক দখলে থাকা গোলান মালভূমিকে ইসরায়েলের অংশ বলে স্বীকৃতি দেয়নি।
এবার বাশারের পতন হতেই আবার সিরিয়ায় হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, সোমবারই নেতানিয়াহু গোলান মালভূমিকে ইসরায়েলের অংশ বলে দাবি করেছেন। এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের হামলাকে গোলান মালভূমিতে পুনরায় দখলের চেষ্টা বলে মনে করছেন অনেকে।