জমজমের পানি পানে নতুন নির্দেশনা সৌদি সরকারের

জমজমের পানি পান
জমজমের পানি পান  © সংগৃহীত

জমজমের পানি পানের জন্য কিছু নতুন নির্দেশনা জারি করেছে সৌদি আরব। দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, পবিত্র কাবা ও মসজিদে নববীতে জমজমের পবিত্র এই পানি পানের সময় নিজের মধ্যে শান্ত বোধ রাখতে হবে এবং এই পানি পানের সময় আল্লাহর সন্তুষ্টি চাইতে হবে এবং ডান হাতে পানি পান করারও আহ্বান জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, পানি পানের সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে এবং পানি যেন ছড়িয়ে না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। জমজমের ট্যাপ ছেড়ে অযু না করারও অনুরোধ করা হয়েছে। পানি পানের পর কাপ নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে এবং ঠেলাঠেলি বা ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে।

জমজমের পানি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম পানি। ইসলামি ঐতিহ্যে এটি আল্লাহর কুদরতের বিস্ময়কর নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ভূপৃষ্ঠের শ্রেষ্ঠ পানি জমজম। এই পানিতে খাদ্য গুণাবলি রয়েছে এবং এটি রোগ থেকে মুক্তি দেয়। এমনকি যে উদ্দেশ্যে জমজম পান করা হয়, তা পূরণ হয়। নবিজির মতে, কেউ যদি রোগমুক্তির জন্য জমজম পান করে, আল্লাহ তাকে সুস্থ করে দেবেন।

নতুন ওমরাহ মৌসুমের প্রাক্কালে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে হজ ও ওমরাহ যাত্রীরা নির্দিষ্ট পরিমাণ জমজমের পানির জন্য বুকিং দিতে পারবেন। সম্প্রতি বাংলাদেশিদের জন্যও এই অ্যাপটি উন্মুক্ত করা হয়েছে। 

জমজমের পানি নবি ইবরাহিম (আ.)-এর ছেলে নবি ইসমাইল (আ.)-এর স্মৃতিবিজড়িত। সহিহ হাদিসে বিধৃত হয়েছে যে নবিজি (স.) নিজেই জমজমের পানি পান করেছেন। জমজমের এই পানি ইসলামের দুই পবিত্র স্থান—মক্কার মসজিদুল হারাম এবং মদিনার মসজিদে নববিতে জীবাণুমুক্তভাবে বিতরণ করা হয়।  

জমজমের পানি মুসলিমদের জন্য শুধু একটি পানীয় নয়, এটি একটি আধ্যাত্মিক ও ঐতিহাসিক নিদর্শন, যা তাদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান ধরে রেখেছে। প্রতিবছর যারা সৌদি আরবে ওমরাহ ও হজ পালন করতে যান, তারা দেশে ফেরার সময় প্রায়ই জমজমের পানি নিয়ে যান এবং আত্মীয়–স্বজন ও বন্ধুদের উপহার হিসেবে দেন। জমজমের পানি পবিত্র কাবা থেকে মাত্র ২০ মিটার দূরে, ৩০ মিটার গভীরে একটি কূপ থেকে সংগৃহীত হয়। এটি হাজার বছর ধরে হাজীদের তৃষ্ণা মেটাচ্ছে এবং ইসলামের ঐতিহ্যের সাথে গভীরভাবে যুক্ত।

সূত্র: গালফ নিউজ


সর্বশেষ সংবাদ