কোরআন পোড়ানোকে অবৈধ করার কথা ভাবছে সুইডেন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৩, ১২:১২ PM , আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৩, ১২:২১ PM
পবিত্র কোরআনসহ সব ধর্মগ্রন্থ পোড়ানো নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে সুইডেন। কোরআন পোড়ানো নিয়ে দেশটিতে ঘটে যাওয়া লঙ্কাকাণ্ডের জেরে এ চিন্তা বলে জানিয়েছেন দেশটির একজন মন্ত্রী। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বিচারমন্ত্রী গুনার স্ত্রোমার স্থানীয় পত্রিকা আফতনব্লদেৎকে এ চিন্তার কথা জানান। তবে এর পেছনে নেটোতে যোগদান বাধাগ্রস্থ হওয়াও অন্যতম কারণ হতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
তিনি বলেন, সুইডেন হামলাকারীদের কাছে অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকা দেশে পরিণত হয়েছে। বলেও মনে করেন বিচারমন্ত্রী। গত সপ্তাহে কোরআন পোড়ানোর ঘটনা আমাদের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করেছে বলেই আমরা দেখতে পাচ্ছি। বর্তমান আইন ঠিক আছে কিনা বা আমাদের পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন আছে কিনা সে প্রশ্ন আমাদের নিজেদেরকেই করতে হবে।
সুইডিশ সিকিউরিটি সার্ভিস বলছে, ধরনের ঘটনা সুইডেনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে। পুলিশের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পুলিশ বেশ কয়েকটি সমাবেশের আবেদনও বাতিল করে দিয়েছিল। ওইসব প্রতিবাদ কর্মসূচির মধ্যে কোরআন পোড়ানোর কর্মসূচিও রেখেছিল প্রতিবাদকারীরা। তবে আদালত পুলিশের ওই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে রায় দিয়েছে। আদালত বলেছে, সুইডেনের বাক স্বাধীনতার আইনে এ ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচি বৈধ।
এধরনের ঘটনা সামরিক জোট নেটোতে সুইডেনের যোগদানের প্রক্রিয়াকেও বাধাগ্রস্ত করেছে। নেটোর সদস্য দেশ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান পরিষ্কার বলেছেন, কোরআন পোড়ানো বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তুরস্ক সুইডেনের নেটোর সদস্য হওয়ার আবেদনে অনুমোদন দেবে না।নিয়মানুযায়ী, সদস্য রাষ্ট্রেরগুলোর মধ্যে যদি একটি দেশও ভেটো দেয় তবে নতুন আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
গত সপ্তাহে একজন ইরাকি অভিবাসী সুইডেনের রাজধানী স্টোকহোমের একটি মসজিদের সামনে একটি কোরআন পুড়িয়ে দেন। মুসলিম বিশ্ব থেকে যে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসও এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন।