ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার বর্ণনা দিলেন ঝিনাইদহের আক্তারুজ্জামান

দুর্ঘটনার কবলে পড়া ট্রেন  এবং মো. আখতারুজ্জামান
দুর্ঘটনার কবলে পড়া ট্রেন এবং মো. আখতারুজ্জামান  © সংগৃহীত

কলকাতা থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। আহত হয়েছেন বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে ঝিনাইদহের মো. আক্তারুজ্জামান রয়েছেন।

আক্তারুজ্জামান তার স্ত্রীর চোখের চিকিৎসা করাতে ভেলরে যাচ্ছিলেন। পথে এ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তারা। মহেশপুর উপজেলার সামন্তা এলাকার পাখরাইল গ্রামের বাসিন্দা এই দম্পতি। আক্তারুজ্জামান মহেশপুর সরকারি পদ্মপুকুর শেখ হাসিনা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক।

দুর্ঘটনা সম্পর্কে আক্তারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাদের বহনকারী ট্রেনটি যখন উড়িষ্যার বালাসোর জেলার বাহাঙ্গাবাজার এলাকায় পৌঁছান তখন দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। তারা বিকট শব্দ ও ঝাঁকুনি অনুভব করেন। ট্রেনের মধ্যে থাকা হাজার হাজার মানুষ কান্নাকাটি শুরু করেন। তারাও বুঝে নেন ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পড়েছে।

তিনি বলেন, তারা শুধু বুঝতে পেরেছিলেন বিকট শব্দ হলো। সেইসঙ্গে ট্রেনটি সজোরে ঝাঁকুনি দিলো। সামনে কিছু একটা হয়েছে বোঝার চেষ্টা করলেন, কিন্তু ব্যর্থ হলেন। এক সময় তাদের সরিয়ে দেওয়া হলো। শুধু যাওয়ার সময় চোখের সামনে দেখতে পেলেন হতাহতদের নিয়ে টানাটানি। আহতরা চিৎকার করছে, তাদের উদ্ধারে কাজ করছেন রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি স্থানীয়রা।

আক্তারুজ্জামান আরও বলেন, ঘটনার পর কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। তবে যখন তাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল তখন দেখতে পান হতাহতদের নিয়ে ছুটাছুটি, যা দেখে খুবই খারাপ লেগেছে। আহত মানুষের চিৎকার কষ্ট দিয়েছে। শুধু ভেবেছেন এত বড় এক দুর্ঘটনায় পড়েও তারা ভালো আছেন। বর্তমানে তারা ভেলরের পথে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ