কলেজে ড্রপআউট ছিলেন ভারতের আলোচিত ধনী গৌতম আদানি
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:১৭ PM , আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:১৭ PM
টাটা, বিড়লা এমনকী, আম্বানিদেরও টপকে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী হয়ে যান ভারতের ব্য়বসায় গৌতম আদানি। তবে মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশের পর আদানির সাম্রাজ্যে ধস নেমেছে। কলেজের সেকেন্ড ইয়ারে ড্রপ আউট থেকে এই বিশাল সাম্রাজ্য গড়েছিলেন আদানি। তিনিই হঠাৎ করে বিশ্বের তৃতীয় ধনী হয়ে যান মুকেশ আম্বানিকে ছাড়িয়ে। খবর: এবিপি আনন্দের।
দেশের সর্বশক্তিমান ব্যবসায়ী হয়ে ওঠা গৌতম আদানিকে নিয়ে উত্তাল গোটা ভারত। অথচ আগে তার নাম শিল্পমহলে প্রথম সারিতে শোনাই যেত না। ২০০১ সালে নরেন্দ্র মোদি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় বিশ্বের ধনীর তালিকা দূরের কথা, আদানি গোষ্ঠীর একমাত্র লিস্টেড সংস্থা আদানি এন্টারপ্রাইসের বাজারদর মুকেশ আম্বানির সংস্থার ৫০০ ভাগের একভাগ ছিল।
২০০৩ সালে একটি সভায় নরেন্দ্র মোদির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন গৌতম আদানি। এরপর থেকেই শুরু হয় মোদি-আদানর সম্পর্ক। সেইসঙ্গে আদানির ভাগ্যের চাকা ঘুরতে থাকে। ২০০০ সালে আদানি গোষ্ঠীর ব্য়বসা ছিল ৩ হাজার ৩০০ কোটির। ২০১৩ সালে হঠাৎই বেড়ে হয় ৪৭ হাজার কোটি।
বিরোধী দলগুলোর দাবি, আদানির বিমানে চড়েই ভোটের প্রচার সেরেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি গুজরাত থেকে দিল্লি এসেছিলেন আদানির বিমানেই। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মোদির সঙ্গে বিভিন্ন দেশে দেখা গেছে তাকে। আদানির সংস্থাকে ১ বিলিয়ন ডলারের ঋণও দিয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
২০১৩ সালে গৌতম আদানির সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার কোটির। ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২৭ হাজার কোটি রুপিতে। এ বিষয়ে দেশটির অর্থনীতিবিদ সৈকত সিংহ রায় বলেন, ‘আদানির সঙ্গে মোদিরর গুজরাত থেকে আলাপ, পরে প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় সম্পর্ক দৃঢ়। কলেজ ড্রপ আউট হওয়ায় বাঁকা পথ ভাল বোঝে।’
হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট সামনে আসার পর আদানির শেয়ারে ধস নেমেছে। গত ১৭ জানুয়ারি আদানির মোট সম্পত্তি ছিল ১০ লাখ কোটির। বিশ্বের ধনীদের তালিকায় গৌতমি হন তৃতীয়। তবে ৩ ফেব্রুয়ারি নেমে এসেছেন ২১ নম্বরে। সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে ৫ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকায়। শেয়ার বাজারে প্রায় ১০ লাখ কোটি টাকা খুইয়েছে আদানি গ্রুপ। মার্কিন ডাও জোন্স সূচক থেকে আদানি এন্টারপ্রাইজের নথিভুক্তি বাতিল করা হয়েছে।