পিআর নির্বাচনী ব্যবস্থা: বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ?
- মো. ফিরোজ আলম
- প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৫, ১০:১৯ PM , আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৩ AM

প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পি.আর. বা PR) হলো এমন একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা, যেখানে রাজনৈতিক দল যে পরিমাণ ভোট পাবেন, সেই অনুপাতে সংসদ বা আইনসভায় আসন পাবেন। ১৮৫৫ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে পিআর এর Single Transferable Vote -STV পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় করেন। যুক্তরাজ্যের থমাস হেয়ার ১৮৫৭ সালে Single Transferable Vote -STV পদ্ধতি সম্পর্কে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেন। ১৮৯৯ সালে বেলজিয়ামে প্রথম জাতীয় নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়।
সুবিধা:
১. পিআর সিস্টেমের সবচেয়ে সুবিধা হলো নির্বাচনে সমগ্র দেশে যে দল যত শতাংশ ভোট পাবে, সেই দল তত শতাংশ আসন পাবে।
২. দলীয় প্রার্থীকে তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্ব দিয়ে রাজনৈতিক দলকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়।
৩. একই সাথে ছোট দল ও সংখ্যালঘুদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয় কেননা তারা তাদের দলকে ভোটদান করতে পারে, এক্ষেত্রে কারো ভোট নষ্ট হওয়া কিংবা পচে না।
অসুবিধা:
১.শক্তিশালী রাজনৈতিক দলের শাসনব্যবস্থা দীর্ঘমেয়াদি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২. একই সাথে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
৩. কোয়ালিশন সরকার গঠন করতে হয় যা দুর্বল ও আনস্টাবল হয়।
৪. সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সবার মতামত গ্রহণ করতে হয় ফলে বাস্তবায়নেও বিলম্বিত হয় এবং বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়।
৫. অনেক সময় উগ্রপন্থী বা বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীও ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
৬. যেহেতু ভোটাররা দলকে ভোট দেয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে নেতারা জনসম্পৃক্ত না হওয়ায় নেতা ও ভোটারদের সাথে সরাসরি সম্পর্ক কমে যায়। কোনো নেতাকে তার সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটারদের কল্যাণে কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতি দেয়া কিংবা বাস্তবায়ন করতে হয় না।
বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে PR সিস্টেম বিপজ্জনক কী?
পিআর এর একাধিক পদ্ধতি রয়েছে। ব্যবহৃত পদ্ধতিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য Mixed PR অথবা Mixed Member PR-MMP. এই পদ্ধতিতে সাধারণত ভোটার ২টি ভোট প্রদান করে থাকে। একটি লোকাল প্রতিনিধির জন্য, অন্যটি দলের জন্য। এই পদ্ধতিতে সরকারকে দীর্ঘদিন ধরেও ক্ষমতায় থাকার সুযোগ করে দেয়। জার্মানিতে এঞ্জেলা মার্কেল ১৬ বছর ক্ষমতায় ছিল (২০০৫-২০২১)। বলিভিয়ায় MAS- Movement for Socialism পার্টি ১৩ বছর ২০০৬-২০১৯ রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল। স্কটল্যান্ডে Additional Member System - AMS হলো এক ধরনের MMP পদ্ধতি ব্যবহার করে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (SNP) ১৭ বছর (২০০৭ - বর্তমান) ক্ষমতায় আছে।
Party list proportional Representation (List PR) পদ্ধতিতে জাতীয় আঞ্চলিক মাল্টি মেম্বার ডিস্ট্রিক্ট অনুযায়ী দলগুলোকে তাদের ভোটের অংশের অনুপাতে আসন বণ্টন করা হয়। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে ভোটার উন্মুক্ত অথবা গোপন পদ্ধতিতে পার্টি লিস্টে ভোট প্রধান করে থাকে। সুইডেন উন্মুক্ত পদ্ধতি ব্যবহার করে social Democratic party (SAP) ৪৪ বছর (১৯৩২-১৯৭৬) ক্ষমতায় ছিল। গোপন লিস্ট পিআর পদ্ধতিতে নেদারল্যান্ডে মার্ক রুট ১৩ বছর (২০১০-২০২৩) বছর ক্ষমতায় ছিল। পিআর পদ্ধতিতে যেমন দীর্ঘদিন রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার সুযোগ রয়েছে তেমনি অস্থিতিশীল রাষ্ট্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে! ইসরাইলে যেমন ১২ বছর (২০০৯-২০২১) বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল আবার একই রাষ্ট্রে ২ বছরের মধ্যে (২০১৯-২০২১) ৪ বার নির্বাচন হয়েছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও পিআর পদ্ধতিতে সমঝোতার ভিত্তিতে যেমন দীর্ঘমেয়াদী সরকার গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে, ভঙ্গুর ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরিরও শঙ্কাও রয়েছে।
বাংলাদেশে দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিবাদী সরকার ছিল, ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে তাদের পতন হলে উচ্চপর্যায়ের নেতারা প্রতিবেশী দেশ ভারতে পলায়ন করেছে।প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের জন্য বাংলাদেশের সাথে অসম বাণিজ্য চুক্তি এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছে। তার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রকৃত বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে অপরাধীদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে।
অপরাধীদের অনেকেই গা ঢাকা দিয়ে দেশে থাকলেও তাদের সহযোগী এবং দোসররা অনেকেই প্রকাশ্যে আছে। আওয়ামী লীগের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সুবিধাভোগীর সংখ্যা অধিক হওয়ায় ক্ষমতায় থাকাকালীন স্বার্থ এবং ক্ষমতার জন্য নিজেদের মধ্যে অন্তকোন্দল ছিল। একটি সুবিধাবাদী চক্র সংখ্যায় একেবারেই কম হলেও প্রায় সকল সুযোগ-সুবিধা নিয়ে দুর্নীতি, ঘুষ, জবর দখলের মাধ্যমে অর্থের পাহাড় গড়েছে। ওই স্বল্পসংখ্যক ঐক্যবদ্ধ সুবিধাবাদী চক্রের জন্য আওয়ামী লীগের রাজপথের দীর্ঘদিনের ত্যাগী এবং পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা সংখ্যায় তাদের চেয়ে কয়েকশ গুণ বেশি হলেও তুলনামূলকভাবে বঞ্চিত হয়েছেন। শুধুমাত্র তাই নয় অনেক ক্ষেত্রে তারা সুবিধাবাদীদের দ্বারা প্রতারিত এবং নির্যাতিতও হয়েছেন। সুবিধাবাদী চক্রের দম্ভ এবং অহংকারও অনেক বেড়ে গিয়েছিল। অপরদিকে পুলিশ এবং প্রশাসনের লোকজন ছিল দলীয় নেতাকর্মীদের চেয়েও বড় আওয়ামী লীগার পরিচয় দিয়ে ধরাকে জ্ঞান সরা করে চলেছে। ফলে অধিকাংশ ত্যাগী এবং রাজপথের পরীক্ষিত আওয়ামী লীগারই এদের থেকে মুক্তি পেতে আওয়ামী লীগের একবার পতন দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পতনের পর সুবিধাভোগীরা অধিকাংশই বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে পলায়ন করেছেন, আত্মগোপনে গিয়ে হানিমুনে আছেন। ক্ষমতায় থাকাকালীন যারা নির্যাতিত, নিষ্পেষিত , নিগৃহীত, অপমানিত এবং বঞ্চিত ছিল এমন সবার উপর দিয়েই কমবেশি বিপদ গেছে। একইসাথে সাধারণ আওয়ামী লীগের যারা ভোটার তাদের অনেকেই বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
একটি সময় ছিল কোনো কিছু না পেয়েও শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য আওয়ামী লীগ করতো, নৌকায় ভোট দিতো। সেই সংখ্যাটা দিন দিন হ্রাস পেয়েছে। পরবর্তীতে দেখা গেছে শেখ হাসিনা এবং তার আত্মীয়স্বজন অনেককেই অপছন্দ করলেও আওয়ামী লীগ করতো নিজেরা ফায়দা লোটা কিংবা একটু ভালো থাকার জন্য। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেখা যায় দীর্ঘদিনের অপরাধী আওয়ামী লীগারদের শাস্তি বাস্তবায়ন তো দূরের কথা বিচার নিশ্চিতই করা যায়নি। সরকারি, বেসরকারি, কিংবা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠিত সেটআপ আগের মতোই রয়ে গেছে। সামরিক, বেসামরিক বাহিনী কিংবা পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে যারা সরাসরি অপরাধের সাথে জড়িত রয়েছে তাদের শাস্তিও নিশ্চিত করা হয়নি। তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হয়েছে এক ডিপার্টমেন্ট থেকে অন্য ডিপার্টমেন্ট কিংবা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বদলি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাময়িক ডিমোশন কিন্তু চাকরি এবং ডিউটিতে বহাল। বিভিন্ন দূতাবাস, ব্যবসা-বাণিজ্যেও তাদের সম্পূর্ণ সেটাপ রয়ে গেছে। এতো দিন তাদের মধ্যে বিভাজন থাকলেও নিজেদের রক্ষা করতে এখন উপঢৌকন দিয়ে কিংবা নানান অপকৌশল ব্যবহার করে বিভিন্ন গ্রুপ উপগ্রুপে বিভক্ত হয়ে ক্ষমতাসীনদের সাথে মিশে গেছে। সবাই নিরাপদ থাকতে গোপনে নিজেদের মধ্যে ঐক্য গড়েছে।
ফ্যাসিবাদের পতন এবং পালায়নের পরও আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এবং দলীয় মুখপাত্র গণহত্যার দায় স্বীকার করেনি। বরং তারা স্পষ্টভাবেই জানিয়েছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে সরকার উৎখাত করা হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের প্রতিশোধ নেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় প্রকাশ পেয়েছে তাদের বক্তব্যে। আওয়ামী বিরোধী সকল গোষ্ঠী একত্রিত হয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদীদের পতন ঘটালেও পরবর্তীতে নিজেদের স্বার্থের জন্য সুস্পষ্ট বিভাজন প্রকাশিত হচ্ছে। ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে বসে ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত কিংবা পরবর্তীতে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছাতে একটি গোষ্ঠী আওয়ামী লীগের পথ অনুসরণ করে তাদের চেয়েও বেশি দুর্নীতিতে জড়িত হয়েছে। একই সাথে আওয়ামী লীগের ভোট পেতে অপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ার দিকে ধাবিত না হয় আঁতাত করায় আওয়ামী লীগের জন্য স্বস্তির এবং ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সুযোগ হয়েছে।
গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচন না হয়ে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রার্থী হিসেবে হয়তো যোগ্য নেতা পাওয়া যাবে না কিন্তু তারা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকায় ভোট দিবে। নৌকা যদি নাও থাকে তারা যেকোনো দলের সাথে আপোষ, নতুন দলের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করতে পারে। তাদের বিশ্বস্ত মিত্র প্রতিবেশী হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র হওয়ায় তারা ধর্মীয় ট্রাম্প কার্ড হিসেবে হিন্দু মহাজোট বা অন্য কোনো হিন্দু জোটকে ভোট দেয়ার সম্ভাবনা অধিক। তখন কৌশল করে ঘনঘন সরকার পরিবর্তন বা কোয়ালিশনের জন্য দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করার মতো পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে। ইসলামী জোটগুলো ঐক্যবদ্ধ হলেও তাদের মধ্যে উগ্রবাদী বিভাজন থাকবেই। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে মৌলবাদের দোহাই দিয়ে এখানে যে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পিআর পদ্ধতিতে হিন্দু কিংবা অন্য সম্প্রদায়ের উপর ভর করে আওয়ামী লীগ সংখ্যানুপাতিক হারে সংসদে আসন পাবে। তারা আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলবে, তাদের বিচার প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে যেকোনো সিদ্ধান্তকেই বাধাগ্রস্ত করবে। সংসদ হয়ে যাবে অস্থিতিশীল। তারা বহির্বিশ্বে তুলে ধরবে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে, সংসদে তাদের মতামতকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হচ্ছে। তাদের প্রতিবেশী শক্তিশালী হিন্দু রাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও তাদের রক্ষক এবং নিরাপত্তাকারী হিসেবে তাদের পাশেও দাড়াতে পারবে। সংসদে তাদের প্রতিনিধি থাকায় বাংলাদেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ধাবিত করে কিংবা মুসলিম জঙ্গি, উগ্রবাদের তত্ত্ব দিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র তাদের নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে কঠোর হস্তক্ষেপ করাটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়।
ফ্যাসিবাদীর পতনের পর রাষ্ট্রের প্রায় সকল খাতেই কমবেশি দুর্নীতি রয়েছে! নির্বাচনের সাথে সম্পৃক্ত সকল গোষ্ঠী, রাজনৈতিক নেতা এমনকি ভোটাররাও দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে গেছে। পিআর পদ্ধতিতে যদি নির্বাচন হয় এবং সেখানে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেয়া যায় না। তাছাড়া ফ্লোর ক্রসিংয়ের বিধান থাকলে সংসদে প্রতিনিয়ত সাংসদ ক্রয়-বিক্রয় হওয়াটাই স্বাভাবিক। ফলে সরকার মেয়াদপূর্ণ করতে পারে না! পাকিস্তানে আনস্টেবল কোয়ালিশন সরকার পরবর্তীতে সংবিধানে ফ্লোর ক্রসিং নিষিদ্ধ করে ৭০ অনুচ্ছেদ যুক্ত করেছে।
বাংলাদেশেও পিআর সিস্টেম হলে আবার আনস্টেবল কোয়ালিশন সরকার তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। পলাতক আওয়ামীগারদের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহের নিয়ন্ত্রণ থাকায় তাঁরা ছোট ছোট দলগুলোকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আনস্টাবল পরিস্থিতি তৈরি করে সরকার গঠন বিলম্বিত করতে পারে! যেমন নেদারল্যান্ডে ২০১৭ সালে নির্বাচনের পর সমঝোতা না হওয়ায় সরকার গঠন করতে ২২৫ দিন এবং ২০২১ সালে সরকার গঠন করতে ২৭১ দিন লেগেছিলো। বাংলাদেশে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এমন হলে গণহত্যাকারীদের বিচার তো দূরের কথা তারাই হয়ে উঠতে পারেন নিয়ন্ত্রক।
লেখক: সাবেক গণসংযোগ সম্পাদক, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ ও এমফিল গবেষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়