বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে আনা সরকারের দায়িত্ব: সাবেক সিইসি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২২, ০৫:৫৯ PM , আপডেট: ০৪ জুন ২০২২, ০৫:৫৯ PM
আগামী নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তিনি আরও বলেন, বিএনপি অংশগ্রহণ না করলে আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।
আজ শনিবার (৪ জুন) এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত 'বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব' শীর্ষক ছায়া সংসদের তিনি এ কথা বলেন। কেএম নূরুল হুদা এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা উচিত। বাংলাদেশের রাজনৈতিক চর্চা বিবেচনায় আমার মনে হয় কমপক্ষে আগামী ২০ বছর ইভিএম ব্যবহার করা উচিত। আমরা দেখেছি কীভাবে মানুষ ব্যালট বাকশো ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং জালভোট দেয়। ইভিএমে এ রকম অনিয়ম হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি মনে করি বিএনপি যদি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, তাহলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। বিএনপি খুবই বড় এবং শক্তিশালী রাজনৈতিক দল। যদি বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, তাহলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ক্ষমতাসীন দলকে অবশ্যই দায়িত্ব নিতে হবে। যদিও এটা ছায়া সংসদ, আমি বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নিতে অনুরোধ করবো। নির্বাচন বর্জন করলে কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। আপনাদের বসে আলোচনা এবং ইস্যুগুলো নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে সমাধান করা উচিত।
কর্মজীবনের আক্ষেপ করে তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনকালে বেশ কিছু কেন্দ্রে শতভাগ ভোট এবং কিছু সংসদ সদস্য প্রার্থীর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়া ছিল অস্বস্তিকর। বিরোধী দলীয় প্রার্থীদের আমি আদালতে যেতে বলেছিলাম।
কারণ প্রিসাইডিং অফিসার ফলাফল ঘোষণা করার পরে আমরা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি না। তখন একমাত্র আদালতই পারেন এই ইস্যুর সমাধান দিতে। তিনি স্বীকার করেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজন করতে হলে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়।
নূরুল হুদা বলেন, ভোটারদের অবাধে কেন্দ্রে আসা নিশ্চিত করা সম্ভব হলে এই চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রগুলোতে তিনি সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের পরামর্শ দেন।