শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনে: শিক্ষামন্ত্রী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২২, ০৭:২১ AM , আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২২, ০৭:৩১ AM
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী এবং ব্যবসায়ীদের সংঘাত ছড়িয়ে দিতে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন ছিল। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এতবড় সংঘাত? এ জন্য তৃতীয় পক্ষই দায়ী। তবে এ ঘটনায় নিহত দুই জনের পরিবারের পাশে সরকার দাঁড়াবে। শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নিউমার্কেটে ফাস্টফুডের দোকানিদের রাজনৈতিক পরিচয় জানা গেছে। নিজেদের তুচ্ছ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের এনে ব্যাপকতা ছড়িয়ে একটা অরাজকতা তৈরি করেছে। কোনো অবস্থায় এদের ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল ফিরত সামনে, তাদের ব্যবসা করার এখনই সময়। তাছাড়া বিগত দুইবছর ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। সে বিবেচনায় নিয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং নিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষায় বিশ্ব র্যাংকিংয়ের কিছু বিষয় আমরা বুঝিই না। বুঝি না এই অর্থে যে বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অনেক রকমের কতগুলো ফ্যাক্টর কাজ করে। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষার মান ততটা খারাপ নয়। দেশের শিক্ষার মান ভালো, তবে আরও অনেক ভালো করার সুযোগ রয়েছে।
আরো পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দিতে না পেরে বিক্ষোভ
মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অনেক রকমের কতগুলো ফ্যাক্টর কাজ করে। আমাদের দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এখন বিশ্বমানের গবেষণায় কাজ করছে। শিক্ষায় বিশ্ব র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা যেমন দেখা হয় তেমনি কত পাবলিকেশন হয়েছে, বিদেশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় আছে কি না তা দেখা হয়। পাশাপাশি এমন বেশ কিছু ফ্যাক্টর থাকে। এরকম বেশ কিছু বিষয়ে হয়তো আমরা আগে মনোযোগী ছিলাম না।’
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘বুয়েট র্যাংকিয়ে এক লাফে অনেক দূর চলে এসেছে। তা ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় খুবই ভালো করছে। আমাদের অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বমানের গবেষণামূলক কাজ করছে। আমাদের কতগুলো দিকে আরো বেশি নজর দিতে হবে। আমরা র্যাংকিং নিয়ে আগে বেশি মনোযোগি ছিলাম না। এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মনোযোগি হচ্ছে। আশা করি, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্ব র্যাংকিয়ে অনেক ভালো করবে।’
পরে তিনি চাঁদপুর সদর উপজেলা মিলনায়তনে এক হাজার ২০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে ধান বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।