উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ: আব্দুল্লাহ শহীদ

স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
স্বাধীনতা দিবস উদযাপন   © টিডিসি ফটো

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ শহীদ বলেছেন, আজকে যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানার সুযোগ পাননি, তাদের ৭ই মার্চের ভাষণটি পড়ার আহ্বান জানাচ্ছি, যেটি আজ ইউনেস্কোর মেমোরি অব ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার, ও সাংস্কৃতিক অন্তর্ভুক্তির প্রতি বঙ্গবন্ধুর অটল বিশ্বাস ছিল।

সম্প্রতি বিদেশি অতিথিবর্গের সম্মানে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২২ উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের শতাধিক রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি এবং জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিক্ষা, সামাজিক সূচক, প্রযুক্তি, ব্যাংকিং, গ্রামীণ উন্নয়ন বা নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

সাধারণ পরিষদ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে উদীয়মান অর্থনীতির সাথে রয়েছে প্রাণবন্ত গণতন্ত্র। কোভিড-১৯ মহামারির অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও গত বছর এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে বাংলাদেশকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ চূড়ান্তভাবে উত্তরণের সুপারিশ করেছে। নারীর ক্ষমতায়নের জন্য বাংলাদেশের অব্যাহত বিনিয়োগের প্রশংসা করেন তিনি।

বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বিদ্বেষ নয়’ উল্লেখ করে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, বহুপাক্ষিকতার প্রতি যে অবিচল বিশ্বাস তা এই আদর্শ থেকেই এসেছে। ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বঙ্গবন্ধুর প্রথম ভাষণ থেকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, জাতিসংঘ সনদে যে মহান আদর্শের কথা বলা হয়েছে তা বাংলাদেশের জনগণের আদর্শ।

আরও পড়ুন : ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তানকে টপকে গেল বাংলাদেশ

ফাতিমা বলেন, জাতির পিতার সেই আদর্শিক মর্মবাণী আজও উজ্জ্বল। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলাই বাংলাদেশের লক্ষ্য। শান্তিরক্ষা এবং শান্তি বিনির্মাণ ইস্যুতে নেতৃত্ব; শান্তির সংস্কৃতি এবং বিশ্বশান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য আমাদের আহ্বান; ভ্যাকসিন সমতা, ডিজিটাল বিভাজন দূর করা, জলবায়ু সংক্রান্ত বিষয় ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কাজ এগিয়ে নেওয়া, অভিবাসন সমস্যা ও অভিবাসীদের অধিকার রক্ষা, লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠা এবং শিশুদের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদাই সোচ্চার। তিনি মানবিক আহ্বান সাড়া দিয়ে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাহসী সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেন।

স্বাধীন দেশ হিসেবে ৫১ বছরের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশে যেসকল পরিবর্তন এবং আর্থসামাজিক উন্নয়ন সাধন হয়েছে তা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence