জমি-ঘরের দলিলসহ চাবি পেলেন সেই আসপিয়া

আসপিয়া ও তাদের জন্য নির্মিত ঘর
আসপিয়া ও তাদের জন্য নির্মিত ঘর  © সংগৃহীত

পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে ডাক পেয়ে রংপুরে ছয় মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণরত সেই আসপিয়া ইসলাম কাজলের (১৯) জন্য বরিশালের হিজলা উপজেলায় সরকারি জমিতে নবনির্মিত ঘরটি হস্তান্তর করা হয়েছে। বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পংকজ নাথ ও বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দীন হায়দার ঘরটির চাবি প্রদান করেন।

মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের খুন্ন গোবিন্দপুর এলাকায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ জমির দলিল ও নির্মিত ঘরের চাবি আসপিয়ার মা ঝর্না বেগমের হাতে তুলে দেওয়া হয়। 

আরও পড়ুন: ৪০তম বিসিএসের স্থগিত মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৬ ফেব্রুয়ারি

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বকুল চন্দ্র কবিরাজ, উপজেলা চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন ঢালীসহ অন্য কর্মকর্তারা।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নিয়োগ নিয়ে সব অনিশ্চয়তা দূর হয়েছে জানিয়ে ঝর্না বেগম বলেন, বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে বলে আসপিয়ার নিয়োগ নিয়ে জটিলতা দূর হয়েছে। আজ আমার হাতে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন আমাদের মাথা গোজার ঠাঁই হয়েছে। আর আমাদের আশ্রিত হিসেবে পরিচয় দেওয়া লাগবে না।

আরও পড়ুন: বাড়তে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি

ইউএনও বলেন, আসপিয়া ইসলাম কাজল বর্তমানে রংপুরে ছয় মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণে রয়েছেন। ছুটি নিয়ে আসতে না পারায় তার মা ঝর্না বেগমের কাছে ঘরের জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে জমির দলিল আসপিয়া এবং তার মা ঝর্না বেগমের নামে করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পুলিশে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিলে আবেদন করেছিল আসপিয়া। গত ১৪, ১৫ ও ১৬ নভেম্বর জেলা পুলিশ লাইন্সে শারীরিক যোগ্যতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৭ নভেম্বর লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়। ২৩ নভেম্বর প্রকাশিত লিখিত পরীক্ষার ফলাফলেও উত্তীর্ণ হয়। এরপর ২৪ নভেম্বর একই স্থানে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধা তালিকায় পঞ্চম হয়। ২৬ নভেম্বর জেলা পুলিশ লাইন্সে চিকিৎসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে আসপিয়ার। এতেও উত্তীর্ণ হয় সে। সবশেষ ২৯ নভেম্বর মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ঢাকার রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। সেখানেও উত্তীর্ণ হয় আসপিয়া। এরপর নিয়ম অনুযায়ী পুলিশের পক্ষ থেকে আসপিয়ার স্থায়ী ঠিকানা, নাম, পরিচয় তদন্ত করে দেখা হয়। তবে ওই সময় ঘটে বিপত্তি। কারণ তারা হিজলায় একজনের বাড়িতে আশ্রিত ছিলেন। এ কারণে আসপিয়ার পুলিশে নিয়োগ পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।


সর্বশেষ সংবাদ