ফের চোখ রাঙানি করোনার
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় চালু রাখার চিন্তা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:১৭ PM , আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:১৭ PM
দেশে ফের চোখ রাঙ্গানি শুরু করেছে করোনাভাইরাস। গত দুইদিন ধরে ৫ শতাংশের উপরে শনাক্তের হার। এ অবস্থায় প্রাথমিক বাদে মাধ্যমিক থেকে উচ্চশিক্ষা (স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়) স্তর চালু রাখার চিন্তা করছে সরকার।
এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামীকাল রবিবার (৯ জানুয়ারি) কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জানা গেছে, ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় পাঠদান সচল রাখার কথাও ভাবছে সরকার। এজন্য টিকা কার্যক্রমে জোর দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, উচ্চশিক্ষা স্তরে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম অনেকটা এগিয়ে নেওয়ায় সেগুলো এখনই বন্ধের চিন্তায় রাখা হয়নি।
আজ শনিবার (৮ জানুয়ারি) এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চাই না। আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন টিকা নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যায়। সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার সঙ্গে হয়তো একটু অসুবিধা হতে পারে। যারা ১২ বছরের কম বয়সী, তাদের নিয়ে একটু সমস্যা হতে পারে। আমরা সেই বিষয় নিয়েও কাজ করছি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা ১২ বছরের নিচে, তারা টিকার যোগ্য নয়। আমাদের শিক্ষকদের টিকা দেওয়া হয়েছে। যদি ১২ বছরের নিচের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় তখন সেই সিদ্ধান্ত মানবো।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, সরকার টিকার ওপরই জোর দিচ্ছে। ১২ বছরের ঊর্ধ্বে অর্থাৎ মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষা স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো চালু রাখার চিন্তা করছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ করলে হয়তো সেশনজট বেড়ে যাবার শঙ্কায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন হতে পারে। আর তাদের টিকা কার্যক্রমও চলছে। অন্যদিকে, প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা টিকা উপযোগী না হওয়ায় তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিস্থিতি দেখে বন্ধ করা হতে পারে।
এদিকে, আজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, বিশ্বের অনেক দেশে ভয়াবহভাবে করোনা সংক্রামণ বাড়ছে। বাংলাদেশে করোনা সংক্রামণ এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্কুল-কলেজ খোলা রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার জন্য আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই।