মেছোবাঘকে বিড়াল ভেবে পোষার চেষ্টা, ভুল ভাঙলো ফেইসবুক পোস্টে

মেছোবাঘের সেই বাচ্চা তিনটিকে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়
মেছোবাঘের সেই বাচ্চা তিনটিকে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়  © সংগৃহীত

মেছোবাঘের তিনটি ছানাকে বিড়াল ভেবে ঘরে এনে আদর করে খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করলে তাদের বিরূপ আচরণে বিপাকে পড়েন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। এ নিয়ে তিনি ফেইসবুকে পোস্ট দিলে তার ভুল ভাঙে। জানতে পারেন বাচ্চা তিনটি বিড়ালের নয়, মেছোবাঘের। 

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। আর ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া দিবা রানী কর উপজেলার ইছলা ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। 

জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে বাড়ির একটি পরিত্যক্ত জায়গা থেকে শিক্ষক দিবা রানী কর ৩টি মেছোবাঘের ছানা ঘরে আনেন। পরে খাবার খাওয়ানোর সময় প্রাণী তিনটির সন্দেহজনক আচরণ দেখে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছবিসহ একটি পোস্ট দেন। এরপর জানতে পারেন এরা আসলে মেছোবাঘের ছানা।

দিবা রানী জানান, ওই প্রাণীদের আকার, আকৃতি ও স্বভাব দেখে এগুলো সত্যিই বিড়াল ছানা কি না আমার মনে প্রশ্ন জাগে। পরিচয় জানার পর বন বিভাগের পরামর্শে এদের ছেড়ে দেই।

পশু-পাখির প্রতি একটা টান রয়েছে জানিয়ে দিবা রানী বলেন, শুক্রবার দুপুরে বাড়ির একটি পরিত্যক্ত টয়লেটের কাছে একটি ছানার ডাক শুনে এগিয়ে যাই। এরপর টয়লেটের ছাদে আরও দুটি বাচ্চা দেখতে পেয়ে সেগুলো উদ্ধার করে ঘরে নিয়ে আসি। বিড়াল ছানা মনে করে সেগুলোকে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। এরপর কোনো উপায় না পেয়ে এখন কী করবো জানতে চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিই। তখন অনেকে জানায় যে, ওরা মেছোবাঘের ছানা। 

দিবা রানী বলেন, পরে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরীর পরামর্শে বাচ্চাগুলো শুক্রবার রাতেই পূর্বের স্থানে ছেড়ে আসি। আজ সকালে দেখতে পাই যে, মা মেছোবাঘ বাচ্চাগুলো নিয়ে গেছে। 


সর্বশেষ সংবাদ