আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলেন নাসির-তামিমা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২১, ১১:১৯ AM , আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২১, ১১:১৯ AM
‘অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়া’ ও ‘মানহানি’র অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন, তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মি ও তামিমার মা সুমি আক্তার আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেছেন।
আজ রবিবার (৩১ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালতে আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। একই সাথে নাসির, তামিমা ও সুমি আক্তারকে আজকের দিনের (৩১ অক্টোবর) মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছেন। এ বিষয়ে শুনানি কিছুক্ষণের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
৩০ সেপ্টেম্বর ক্রিকেটার নাসির ও তার স্ত্রী তামিমের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের মিজানুর রহমান। মামলার তদন্তে ক্রিকেটার নাসির হোসেন, তামিমা সুলতানা তাম্মী ও তামিমার মা সুমি আক্তারকে দোষী উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে পিবিআই উল্লেখ করেছে, নাসির-তামিমার বিয়ে বৈধ উপায়ে হয়নি। তামিমা ও রাকিব হাসানের বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত নথি জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। রাকিব হাসানকে ডিভোর্স না দিয়েই তামিমা ক্রিকেটার নাসিরকে বিয়ে করেন।
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালতে তামিমার সাবেক স্বামী মো. রাকিব হাসান মামলাটি দায়ের করেন। পরে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে নথি পর্যালোচনা শেষে মামলাটি পিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের ৮ বছরের একটি মেয়েও আছে। তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়িলে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্র-পত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে সম্পূর্ণ জেনেছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, রাকিবের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক চলমান অবস্থাতেই তাম্মি নাসিরকে বিয়ে করেছেন; যা ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। নাসির তাম্মিকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন।
আরও বলা হয়েছে, ‘তাম্মি ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার আট বছর বয়সী শিশু কন্যা মারাত্মভাবে মানসিক বিপর্যস্ত হয়েছেন। আসামিদের এহেন কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে; যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’