শিক্ষাখাতে দুর্নীতি

টিআইবির অভিযোগের পাল্টা জবাব দেবেন শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি  © ফাইল ছবি

শিক্ষাখাতের বিভিন্ন কাজে নিয়মবহির্ভূতভাবে সাড়ে তিন লাখ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয় বলে অভিযোগ উঠে এসেছে এ বছরের ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) গবেষণা প্রতিবেদনে। তবে টিআইবির প্রতিবেদন মানতে নারাজ শিক্ষামন্ত্রী। তাই শিক্ষাখাতে নানা পর্যায়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির এই অভিযোগের প্রতিবাদ  জানাতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ বিষয়ে গণমাধ্যমে জবাব দেবেন বলে জানানো হয়েছে।

বুধবার (৬ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকতা এম এ খায়েরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা সংক্রান্ত সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় শিক্ষামন্ত্রী এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সার্বিক বিষয় তুলে ধরবেন।

সম্প্রতি টিআইবির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষাখাতের বিভিন্ন কাজে সাড়ে তিন লাখ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়। এসব নিয়ম-বহির্ভূত অর্থ আদায়ে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্বে থাকে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি (এসএমসি) ও কলেজ পরিচালনার দায়িত্বে থাকে গভর্নিং বডির (জিবি) সংশ্লিষ্টরা জড়িত বলে টিআইবির গবেষণায় উঠে এসেছে। 

গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক সুপারিশকৃত সহকারী শিক্ষকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদানে ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়। সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগে দুই থেকে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়। এ টাকা দিতে হয় স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও কলেজ পরিচালনার দায়িত্বে থাকে গভর্নিং বডির সঙ্গে জড়িতদের।

এসব নিয়ম-বহির্ভূত অর্থ আদায়েও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্বে থাকে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও কলেজ পরিচালনার দায়িত্বে থাকে গভর্নিং বডির সংশ্লিষ্টরা জড়িত রয়েছে।

এছাড়াও টিআইবি জানায়, শিক্ষক এমপিওভুক্তিতে পাঁচ হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক লাখ পর্যন্ত টাকা দিতে হয়। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও নিরীক্ষার কাজে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষকের এক মাসের এমপিওর টাকা দিতে হয়। আর প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতির জন্য এক লাখ টাকা থেকে শুরু করে পাঁচ লাখ এবং স্বীকৃতি প্রদানে পাঁচ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে হয় নিয়মের বাইরে। অনিয়ম, দুর্নীতি বন্ধে কয়েকদফা সুপারিশ করেছে টিআইবি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বুধবার বলেন, টিআইবির প্রতিবেদন সঠিক নয়, এ বিষয়ে যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। সেখানে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ