১৪-২১ এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ, প্রজ্ঞাপন জারি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২১, ১২:১৬ PM , আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২১, ১২:৪০ PM
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতির কারণে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত আট দিনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আজ সোমবার (১২ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, করােনাভাইরাস (কোভিড-১১) পরিস্থিতি অবনতির কারণে বর্ণিত স্মারকের অনুবৃত্তিক্রমে আগামী ১৪ এপ্রিল ২০২১ ভাের ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত নিম্নরূপ বিধি-নিষেধ আরােপ করা হলাে।
বিধিনিষেধগুলো হলো-
১. সব সরকারি, আধাসরকারি, সায়ত্ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন। তবে বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থল বন্দর এবং তৎসংশ্লিষ্ট অফিসগুলো এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
২. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।
৩. সব ধরনের পরিবহন (সড়ক, নৌ, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য হবে না।
৪. শিল্প-কারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। তবে শ্রমিকদের স্ব স্বপ্রতিষ্ঠান থেকে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
৫. আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর (স্থল, নদী ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বর্হিভূত থাকবে।
৬. অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ঔষধ ও নিত্য প্রয়ােজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনােভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। তবে টিকা কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে টিকা গ্রহণের জন্য যাতায়াত করা যাবে।
৭. খাবারের দোকান ও হােটেল-রেস্টুরেন্ট দুপুর ১২:০০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা এবং রাত ১২টা থেকে ভাের ০৬টা পর্যন্ত কেবল খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ (Takeaway/Online) করা যাবে। শপিংমলসহ অন্যান্য দোকানসমূহ বন্ধ থাকবে।
৮. কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়ােজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৯:০০টা থেকে বিকাল ৩:০০টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ।স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
৯. বােরাে ধান কাটার জরুরি প্রয়ােজনে কৃষি শ্রমিক পরিবহনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন সমন্বয় করবে।
১০. সারাদেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং আইনশূলা বাহিনী নিয়মিত টহল জোরদার করবে।
১১. স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তাঁর পক্ষে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়ােজনীয় ক্ষমতা প্রদান করবেন।
১২. স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জুম্মা ও তারাবী নামাজের জমায়েত বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নির্দেশনা জারি করবে।
১৩. উপর্যুক্ত নির্দেশনাসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ প্রয়ােজনে সম্পূরক নির্দেশনা জারি করতে পারবে।