উইলস লিটলের সেই শিক্ষকের হাত জোড়া লাগানোর চেষ্টা চলছে

ফাহিমা বেগম
ফাহিমা বেগম  © সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে দুর্ঘটনায় রাজধানীর কাকরাইল উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক সৈয়দা ফাহিমা বেগমের (৪৮) বিচ্ছিন্ন হওয়া হাতটি জোড়া লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে। ঘটনার পরপরই গোপালগঞ্জ থেকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষাসফরের উদ্দেশ্যে গোপালগঞ্জে যাওয়ার পথে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হয়। বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকে ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়, যাদের মধ্যে ১০ জনকে গোপালগঞ্জে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

দুর্ঘটনার পর গুরুতর আহত ফাহিমা বেগমকে হেলিকপ্টারে করে বিকেলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর বাঁ হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে। তাঁকে দ্রুত অস্ত্রোপচারে নেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল জানান, বিচ্ছিন্ন হওয়া হাতটি সংযোজন করার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান অধ্যাপক আবুল কালামের নেতৃত্বে অর্থোপেডিক, প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সার্জনসহ কয়েকটি বিভাগের চিকিৎসকের সমন্বয়ে এই অস্ত্রোপচার শুরু হয়েছে।

ফাহিমার স্বামী পুলিশের সিনিয়র এএসপি (এসবি) সৈয়দ শফিকুল ইসলাম জানান, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিক ফাহিমা বেগম। কলেজ শাখার শিক্ষক ও শিক্ষার্থী নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শিক্ষাসফরে যাচ্ছিলেন।

পথে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় বাসচালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা লাগায়। এতে ফাহিমার বাম হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ও অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী আহত হন। আহতদের গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।


সর্বশেষ সংবাদ