বিসিএস পরীক্ষার দিনে জামায়াতের কর্মসূচি, ভোগান্তির শঙ্কা পৌনে ৪ লাখ পরীক্ষার্থীর

বিসিএস
বিসিএস  © সংগৃহীত

আগামী শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সারা দেশে অনুষ্ঠিত হবে ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। এদিন দেশের ৮ বিভাগীয় শহরে প্রায় পৌনে ৪ লাখ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে বসবেন। একই দিনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করায় পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তির শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যাডার পদে ৩ হাজার ৪৮৭ জন এবং নন-ক্যাডার পদে ২০১ জনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা। এই বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন পৌনে চার লাখ চাকরিপ্রার্থী। আগামী শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে, জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ সোমবার দুপুরে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

জামায়াত ঘোষিত কর্মসূচিগুলো হলো ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল, ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা বা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল। তবে ১৯ সেপ্টেম্বর কোন সময় তারা কর্মসূচি পালন করবে সেটা জানানো যায়নি। এ নিয়ে জামায়াতের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিসিএস পরীক্ষার দিনে জামায়াতের এই কর্মসূচি বিসিএস পরীক্ষার্থীদের মনে শঙ্কা তৈরি করেছে। অনেকে এই দিনের কর্মসূচি পূর্ণবিবেচনার আহবান জানিয়েছেন। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, জামায়াত ইসলামীসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদের ভিত্তিতে উভয় কক্ষে পিআরের দাবিতে চলতি ১৮ ও ১৯ তারিখ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। অথচ, এই দুইদিন পুরো দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের মাঝে ৪৭তম বিসিএস নিয়ে তোড়জোড়, দৌড়াদৌড়ি থাকবে। এই সময়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি শিক্ষার্থীদেরকে হুমকির মধ্যে ফেলবে। পিআর দাবির পক্ষে বিপক্ষে মতামত থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু, এমন সময় আন্দোলনের দিনক্ষণ ঠিক করা যুক্তিযুক্ত নয়। রাজনৈতিক দলগুলোকে শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে তাদের কর্মসূচি পুনর্বিবেচনা করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

মাহমুদ হক নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিসিএস পরীক্ষার্থী বলেন, এমনিতেই পুরান অসহনীয় যানজটের সম্মুখীন হতে হয় প্রতিনিয়তই। পরীক্ষার দিন রাজনৈতিক এমন কর্মসূচি থাকলে ভোগান্তির শঙ্কাটা থেকেই যাচ্ছে। ফলে তাদের কর্মসূচি পেছানো যায় কিনা সে বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত, ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা গত ২৭ জুন হওয়ার কথা ছিল। এরপর সেটি পিছিয়ে ৮ আগস্ট করা হয়। এরপর আর এক দফা পিছিয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে পরীক্ষার তারিখ।


সর্বশেষ সংবাদ