হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষ হত্যা মামলায় দম্পতি গ্রেপ্তার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৮ PM , আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৮ PM

রাজধানীর হাবীবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়ার চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। এই মামলার ১২ ঘণ্টার মধ্যে দুই হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির উত্তরখান থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. নাজিম হোসেন (২১) ও রুপা বেগম ওরফে জান্নাতি (২৩)।
বুধবার (১২ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ) উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘ফরিদপুর থেকে রূপা ও নাজিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
এর আগে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে ফরিদপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে ফরিদপুর সদর থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পরপরই ভুক্তভোগীর ফ্ল্যাট থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো বঁটি, একটি ধারালো চাকু ও রক্তমাখা জামা-কাপড় এবং বিছানার চাদর উদ্ধার করা হয়।
উত্তরখান থানা সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ২টা থেকে ভোর ৪টার মধ্যে হাবীবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়া উত্তরখান থানার পুরানপাড়া বাতান এলাকার একটি ছয় তলা বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলার ৬ নং ফ্ল্যাটে খুন হন। এ খুনের ঘটনায় তার ছোট ভাই মোহাম্মদ লুৎফর রহমান ভূঁইয়া বাদী হয়ে উত্তরখান থানায় ১১ মার্চ একটি মামলা করেন।
মামলার এজাহারে নিহতের ভাই উল্লেখ করেন, নিহত সাইফুর উত্তরখানের পুরানপাড়া বাতান এলাকায় তার স্ত্রীর পৈত্রিক আড়াই শতক সম্পত্তিতে বাড়ি নির্মাণ করার জন্য গত ৩-৪ মাস ধরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। যেখানে ঘটনাস্থল তার সামনেই এই জায়গাটি।
গ্রেফতার দম্পতিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে উত্তরার ডিসি মহিদুল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ২-৩ দিন আগে কমলাপুর রেলস্টেশনে সাইফুর রহমান ভূঁইয়ার সঙ্গে গ্রেফতার মো. নাজিম হোসেন ও রুপা বেগম ওরফে জান্নাতির পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাদে সাইফুর তার ফ্ল্যাটে নিয়ে আসেন দম্পতিকে। একপর্যায়ে সাইফুর রহমান রুপাকে তার ফ্ল্যাটে আটকে শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন শুরু করেন। হত্যাকাণ্ডের রাতে এক বেডে ছিলেন নিহত সাইফুর রহমান এবং দম্পতি রুপা ও নাজিম।
তিনি আরও বলেন, সে রাতে নাজিম ঘুমিয়ে পড়লে সাইফুর রহমান রূপাকে ধর্ষণচেষ্টা করেন। একপর্যায়ে নাজিম ঘুম থেকে জেগে রান্নাঘর থেকে বটি এনে সাইফুর রহমানকে উপর্যুপরি কোপাতে থাকেন। আঘাতের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি মৃতুবরণ করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা এই হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।