ইফতারের মুহূর্তে রাসুল (সা.) যে দোয়া পড়তেন

ইফতারের পূর্ব মুহুর্তে
ইফতারের পূর্ব মুহুর্তে  © সংগৃহীত

সারা দিনের রোজার পর সন্ধ্যায় তা ভাঙার মাধ্যমেই ইফতার সম্পন্ন হয়, যা ইসলামে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। নির্ধারিত সময়ে ইফতার করা আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের প্রতীক। ইফতার শুরু করার আগে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ বা ‘বিসমিল্লাহি ওয়া আলা বারাকাতিল্লাহ’ বলা সুন্নত। তাই ইফতারও শুরু করা উচিত বিসমিল্লাহ পড়ে।  

খাওয়ার অন্যান্য সুন্নত ও শিষ্টাচারও ইফতারের সময় মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। যেমন—খাওয়ার আগে হাত ধোয়া, বিনয়ের সঙ্গে বসা, হেলান না দেওয়া, ডান হাতে খাওয়া, ধীরে-সুস্থে খাওয়া, খাবার শেষে আল্লাহর শোকর আদায় করা এবং কেউ খাওয়ালে তার জন্য দোয়া করা। এসব আদব অনুসরণ করলে ইফতার আরও বরকতময় হয়।

ইফতারের পূর্ব মুহুর্তে আল্লাহ তায়ালা দোয়া কবুল করেন।

রাসুল (সা.) ইফতার শুরুর আগে এই দোয়া করতেন-  

اللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া আলা রিজক্বিকা আফতারতু।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার জন্যই রোজা রেখেছিলাম এবং আপনার রিজিক দ্বারাই ইফতার করলাম।

হাদিস : মুয়াজ ইবনে জুহরা (রা.) বলেন, তার কাছে পৌঁছেছে যে রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন ইফতার করতেন তখন এই দোয়া পড়তেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৮)

রাসুল (সা.) ইফতারের পর আরেকটি দোয়া পড়তেন। তা হলো- 

 ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ وَثَبَتَ الأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ 

উচ্চারণ : জাহাবাজ জমাউ ওয়াবতাল্লাতিল উরুক্বু ওয়া ছাবাতাল আজরু, ইনশাআল্লাহ।

অর্থ : পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপশিরা সতেজ হলো আর আল্লাহ তাআলার ইচ্ছায় রোজার সওয়াব লিপিবদ্ধ হলো।

হাদিস : ইবনে উমর (রা.) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন ইফতার করতেন তখন তিনি এই দোয়া পড়তেন। 
ইফতারের সময় রাসুল (সা.) যে দোয়া পড়তেন
সারা দিন রোজা রেখে সন্ধ্যায় রোজা ভাঙতে হয়। এটাই ইসলামে ‘ইফতার’ নামে পরিচিত। নির্ধারিত সময়ে রোজা ভাঙার মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য প্রদর্শন করা হয়। এই সময়ের আছে বিশেষ গুরুত্ব ও তাৎপর্য।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence