মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ: প্রেস সচিব
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৮ PM , আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৮ PM

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ মিথ্যা তথ্য ও প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, পরিষদ জানিয়েছে ৫ আগস্টে পর বিভিন্ন ঘটনায় ২৩ জন মারা গেছেন, যা মিথ্যা তথ্য। এ ছাড়াও ১৭৪টি ঘটনার তথ্য জানানো হয়েছে, সেটিও সঠিক নয়। পুলিশ তদন্ত করে ওইসব ঘটনার তথ্য পায়নি।
এ সময় ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ২৩ হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ ওঠার পর সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। পুলিশের কাছে তথ্য পাঠিয়ে অনুসন্ধান করতে বলা হয়। পুলিশ তদন্ত শেষে জানায়, ২৩টির মধ্যে ২২টি ঘটনা খতিয়ে দেখা গেছে, একটিতেও সাম্প্রদায়িক হত্যার ঘটনা ঘটেনি।
জানা গেছে, যে ২২টি ঘটনার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে, তার মধ্যে একটি ঘটনার সঙ্গেও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কোন সম্পর্ক নেই। হত্যাকাণ্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ সাতটির সঙ্গে চুরি ও দস্যুতার সম্পর্ক রয়েছে, চারটিতে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কলহের ঘটনা জড়িত, তিনটি ক্ষেত্রে জেনারেল ক্রাইম যেমন ধর্ষণ, অতিরিক্ত মদ পানে মৃত্যু এবং বিদ্রুপ মন্তব্য করা নিয়ে দুই পক্ষের মারামারি থেকে মৃত্যু, দুইটি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু, দুইটি ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে মৃত্যু, একটিতে স্থানীয়দের সংঘাতে মৃত্যু, একটি জমিজমার বিরোধ সংক্রান্ত ঘটনায় মৃত্যু, একটি আত্মহত্যার ঘটনার তথ্য পাওয়া গেছে। একটি মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনও না জানা গেলেও এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে যে সেখানে কোন সাম্প্রদায়িক সংঘাতের বিষয় নেই।
জানা গেছে, তালিকায় এমন ব্যক্তিও রয়েছেন যিনি গত বছরের জানুয়ারি মাসে একটি ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ডিসেম্বর মাসে হাসপাতালে মারা যান। এই প্রত্যেকটি ঘটনাকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে আইনি পদক্ষেপ ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। এই ২৩ ঘটনার দুটোতে যেখানে আত্মহত্যা ও পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা রয়েছে সেই দুটি পুলিশ ইতোমধ্যে তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। অপর ২১টি তদন্তাধীন মামলায় ইতোমধ্যে ৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ১৭ জন নিজেদের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারয় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপপ্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মেদ।