ডাস্টবিন ইস্যুতে সমালোচকদের একহাত নিলেন মারুফ কামাল

মারুফ কামাল খান
মারুফ কামাল খান  © সংগৃহীত

অমর একুশে বইমেলায় ‘হাসিনা ডাস্টবিনে’ ময়লা ফেলা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে দেশজুড়ে। এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলায় সমালোচনাকারীদের একহাত নিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদার জিয়ার সাবেক প্রেস সচিব প্রখ্যাত সাংবাদিক মারুফ কামাল খান। তিনি বলেন, ‘সুরুচিকর মর্যাদা কি হাসিনার প্রাপ্য?’

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

পোস্টে মারুফ কামাল খান লেখেন, ‘হাসিনার রেজিমের সময় তার ভাষা, মানুষের প্রতি মর্যাদাবোধ ও আচরণ আমরা দেখেছি ও শুনেছি। একই কথা প্রযোজ্য হাসিনার সমর্থক ও অনুগতদের বেলায়ও। রুচির এমন জঘন্য বিকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা কি তখন নিষিদ্ধ ছিল? নিষিদ্ধ না থাকলে রুচির ব্যাপারীদের তখন হাসিনা ও তার বান্দা-বান্দীদের পরিবেশ দূষণকারী বিকৃত রুচির বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায়নি কেন?’

তিনি বলেন, ‘এখন হয়তো সে নিষেধাজ্ঞা আর নেই বলে রুচির ব্যাপারীরা একুশের গ্রন্থমেলার ‘হাসিনা ডাস্টবিন’কে রুচির বিকৃতি বলে নিন্দেমন্দ করছেন। আচ্ছা, সুরুচিকর মর্যাদা কি হাসিনার প্রাপ্য?’

বিগত আমলে অন্যায় ও অত্যাচার নিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের বেশির ভাগ মানুষ হাসিনার অরুচিকর আচরণ, কুৎসিত ভাষা ও ঘৃণাবাদের দ্বারা আক্রান্ত, অপমানিত ও লাঞ্ছিত হয়েছে। খুন-খারাপি, জুলুম-অত্যাচারের বিচার আলাদা। অপমানিত নাগরিকরা কি হাসিনার প্রাপ্য চুকিয়ে দেবে না? তাদের সে অধিকার থেকে সুরুচির দোহাই দিয়ে কেন বঞ্চিত করা হবে?’

আওয়ামী ফ্যাসিজমের অতীত অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘অতীতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ হাজারো অন্যায় অপরাধ করেও তাদের মাস্তানি এবং কালচারাল কসমেটিক সার্জারির মাধ্যমে পার পেয়ে গেছে। ভদ্রলোকরা ওদের মাস্তানির আশঙ্কায় তটস্থ থাকেন। আর সাধারণ মানুষ কসমেটিক সার্জারি দেখে বিভ্রান্ত হন। এটাই অতীতের অভিজ্ঞতা। যার যা প্রাপ্য তা কি এবারেও দেওয়া যাবে না?’

সমাজে অপরাধের প্রাপ্য নজির স্থাপন করতে হবে উল্লেখ করে মারুফ কামাল বলেন, ‘যারা সুরুচিকর সম্মান পেতে চান, তারা রুচিহীন বর্বরদের ডিজৌন করে আসুন। একমাত্র আওয়ামী লীগই যেকোনো অন্যায় করার অধিকার রাখে এবং এটা কখনো তাদের জন্য বুমেরাং হয়ে ফিরে আসবে না, এই বিশ্বাস পাল্টাতে হবে। অন্যায় এবং সেই অন্যায়ের প্রতিবিধানকে একই পাল্লায় মাপার শয়তানিকে খারিজ করে দিতে হবে। অপরাধের প্রাপ্য এই, আমাদের সমাজে সে নজির স্থাপন করতে হবে। তা না হলে সমাজে কখনোই সুরুচি প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।’


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence