ভোটকেন্দ্র দখলের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়তে হবে: সিইসি

ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথা বলছেন সিইসি নাসির উদ্দিন
ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথা বলছেন সিইসি নাসির উদ্দিন  © সংগৃহীত

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ভোটকেন্দ্র দখলসহ সব অনিয়মের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যেদিন মানুষ নির্ভয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন, ইসি সেদিন মনে করবে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। 

আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকার সাভারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ‘ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ সুযোগ হাতছাড়া হলে আবার কবে হবে, সেটা জানি না। সঠিক ভোটার তালিকা করতে না পারলে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে না।’

সিইসি বলেন, এই কমিশন রংবিহীন, চেহারাহীন। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে নির্বাচন কমিশন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

তিনি বলেন, স্বচ্ছ ও শুদ্ধ ভোটার তালিকা মাঠকর্মীদের সচেতনতার ওপর নির্ভর করবে। ভোটার তালিকায় যাতে কোনো অসততা, অনীহার অভিযোগ না আসে কর্মকর্তাদের এমন পরামর্শও দেন তিনি।

এ এম এম নাসির উদ্দিন জানান, যেদিন জনগণ ভয়ভীতি ছাড়া মুক্ত হয়ে ভোট দিতে পারবে সেদিন অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।

আরও পড়ুন: বদলে যাচ্ছে পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার সদস্যদের পোশাক

ইসির নির্বাচন প্রস্তুতির প্রথম ধাপ হলো ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ। এরই মধ্যে পুরোদমে শুরু করেছে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি। ইসি সূত্রে জানা গেছে, ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহের এই কার্যক্রম। এবার যাদের জন্ম ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে তাদের তথ্যসংগ্রহ করা হবে। নিবন্ধন কেন্দ্রেই নাগরিকদের বায়োমেট্রিক গ্রহণের কাজ সম্পন্ন করা হবে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভোটার এলাকা স্থানান্তরের আবেদন গ্রহণ, মৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া এবং নতুন ভোটারের ডাটা আপলোড করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত।

আইন অনুযায়ী, এসব নতুন ভোটারের তথ্য আগামী ২০২৬ সালের ২ জানুয়ারি তালিকায় যুক্ত হবে। এরপর দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে আগামী বছরের ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করবে ইসি। এর আগে গত ২ জানুয়ারি চলতি বছরের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে যুক্ত হয়েছে ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ নতুন ভোটার। সব মিলিয়ে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২। ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হয়েছেন, ওই তালিকায় তাদের যুক্ত করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ