মোল্লা কলেজে নজরুল-সোহরাওয়ার্দীর শিক্ষার্থীদের হামলা-ভাঙচুর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৮ PM , আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৯ PM
রাজধানীর ডেমরায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে (ডিএমআরসি) হামলা চালিয়েছেন কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় কলেজ ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে কবি নজরুল কলেজের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে ডিএমআরসির উদ্দেশে রওনা হন এই দুই কলেজের হাজারো শিক্ষার্থী। পরে ডিএমআরসি কলেজে হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর করে তারা।
এসময় মোল্লা কলেজের গেট ভাঙচুর করে ভেতরে ঢুকে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ার, কম্পিউটার-ল্যাপটপ-ডকুমেন্টসহ মূল্যবান অসংখ্য জিনিস লুটপাট করে নিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের।
ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ডেমরার এই কলেজটি। তবে হামলা থেকে রক্ষা পেতে কলেজের গেট বন্ধ করে দিয়েছেন মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকেন সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। বেলা ১০টার দিকে তারা লাঠিসোঁটা হাতে বের হন কবি নজরুল সরকারি কলেজের দিকে। সেখান থেকে দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা এক হয়ে রওনা দেন ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের দিকে।
নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে সংঘর্ষে জড়ায় মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘মোল্লার চামড়া, তুলে নেব আমরা’ এমন স্লোগান দিতেও দেখা গেছে।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে ড. মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার ৩০টির বেশি কলেজের শিক্ষার্থীরা কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।
জানা যায়, গত বুধবার ভুল চিকিৎসায় ডিএমআরসির এইচএসসি শিক্ষার্থী অভিজিত হাওলাদারের মৃত্যুর অভিযোগে কলেজটির শিক্ষার্থীরা ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিক্ষোভ করে। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের ছাত্রদলের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনরত ডিএমআরসি কলেজের বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করে।
এর প্রতিবাদে রবিবার ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার ডিএমআরসি কলেজ, নটরডেম কলেজ, সিটি কলেজ, ঢাকা কলেজ, নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, নারায়ণগঞ্জ সরকারি কলেজ, খিলগাঁও সরকারি কলেজসহ ৩০টির বেশি কলেজের শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। একপর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে প্রায় ৪০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।