বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

মারার পর পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে নিখোঁজ সন্তানের লাশ

লাশ পোড়ানোর আগে ভ্যানে জড়ো করে রাখা অসংখ্য নিথর দেহের স্তূপের ভাইরাল ভিডিওর স্ক্রিনশট
লাশ পোড়ানোর আগে ভ্যানে জড়ো করে রাখা অসংখ্য নিথর দেহের স্তূপের ভাইরাল ভিডিওর স্ক্রিনশট  © সংগৃহীত

ঢাকার আশুলিয়ার সদ্য মাধ্যমিকের গন্ডি পেরোনো তামিম সিকদারের স্বপ্ন ছিল দেশের বাইরে যাওয়ার। এ লক্ষ্যে এসএসসি পরীক্ষা শেষে নিচ্ছিলো ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ। এরই মধ্যে শুরু হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এতে অংশ নিয়ে নিখোঁজ হয় তামিম। অনেক খোঁজাখুজির পর তার বাবা জানতে পারেন, ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। শুধু তা-ই নয় নিহত ছেলের লাশটাও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছেলে তামিম সিকদার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে বাবা ফারুক হোসেন এমন অভিযোগ করে বক্তব্য দেন।

ফারুক হোসেন বলেন, গত ২৬ জুলাই শেখ হাসিনার সরকারের নির্দেশে কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্য প্রকাশ্য দিবালোকে বাইপাইল মোড়ে গুলি করে আমার ছেলেকে মেরে ফেলে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে এলোপাতাড়ি আঘাতও করে তারা। আন্দোলনের সহযোগীরা মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থক ও কিছু পুলিশ সদস্য তামিমের মরদেহ নিয়ে যায়।

আশুলিয়ার ছেলে হারানো এই বাবা বলেন, ‘আমার ছেলের লাশ আর ফেরত পাইনি। কিছুদিন পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজ দেখে ছেলে তামিম সিকদারের লাশ পোড়ানোর দৃশ্য দেখতে পাই আমি। আওয়ামী সন্ত্রাসী ও অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্যরা পারস্পারিক যোগসাজশে পুড়িয়ে নিশ্চিহ্ন করে ফেলেছে আমার ছেলেসহ অনেকের লাশ।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিচার বিভাগের কাছে ছেলের হত্যাকারী, হত্যার নির্দেশদাতা ও হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে নিশ্চিহ্নকারী অপরাধীদের দ্রুত শাস্তির দাবি করেন আশুলিয়ার ছেলে হারানো এই বাবা।


সর্বশেষ সংবাদ