চুয়েটে গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদে চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৫ PM , আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৮ PM
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদে ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বৃহত্তর চট্টগ্রামের গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম আন্তঃজেলা মালিক সমিতি কার্যালয়ে গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের জরুরি সভায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের আহ্বায়ক মনজুরুল আলম চৌধুরী মনজু। এ সময় গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মালিক শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বৃহত্তর চট্টগ্রামের সব মহাসড়ক থেকে অবৈধ যান বন্ধ ছাড়াও চুয়েট শিক্ষার্থীদের হাতে ক্ষতিগ্রস্ত গণপরিবহনের ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। এছাড়াও বিভিন্ন গণপরিবহনে যখন তখন হামলা, আগুন, পুলিশের হয়রানি, সড়ক-মহাসড়কে নৈরাজ্য বন্ধসহ শ্রমিকদের নিরাপত্তার দাবিতে এই ধর্মঘটের ডাক দেন। সভায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলায় বাস চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।
মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মনজুরুল আলম চৌধুরী মনজু বলেন, বাসচালকের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেনি। মোটরসাইকেল চালক বেপরোয়া ছিলেন। এর ফলে দুর্ঘটনা ঘটেছে।
গত সোমবার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই চুয়েট শিক্ষার্থীর প্রাণহানি হয়। এর জের ধরে ওইদিন থেকে শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন। গত বুধবার ঘাতক বাসের চালককে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হয়।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ২০ জনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা চুয়েটের মূল ফটকের সামনে সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন। এরপর চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ সময় তারা জানান, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বাসচালককে গ্রেপ্তার করার দাবি ছিল। সেই দাবি পূরণ হয়েছে। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তহবিল গঠন করবে, যেখানে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, সব শিক্ষক ও কর্মকর্তা- কর্মচারীরা সহযোগিতা করবেন। তাছাড়া চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অপ্রশস্ত হওয়ায় বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই সড়কটি পর্যন্ত প্রশস্ত করার কাজও দ্রুত শুরু করা হবে। এ বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করা হবে বলে আশ্বাস পেয়েছেন তারা। এসব দাবি পূরণ কিংবা আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বৈঠক ফলপ্রসূ হওয়ায় পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে শুক্রবার বিকেল ৪টায় সিন্ডিকেট সদস্যদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় ৯ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকলেও হল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।