আজ জাতীয় সংবিধান দিবস
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৫২ AM , আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৫২ AM
আজ শনিবার (৪ নভেম্বর) জাতীয় সংবিধান দিবস। ১৯৭২ সালের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধুর ভাবনা/সংবিধানের বর্ণনা’। দিবসটি উদযাপনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচিও হাতে নেওয়া হয়েছে।
এ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংবিধান দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে পৃথক বাণী দিয়েছেন। এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। গত বছর ৪ নভেম্বর ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় সংবিধান দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হলে প্রথমবারের মতো দিবসটি উদযাপন করা হয়।
‘জাতীয় সংবিধান দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আজ শনিবার বেলা ১১টায় আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে এক সেমিনারের আয়োজন করেছে। এতে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ নেবেন। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।
সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আইন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের মো. মইনুল কবির এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থা থেকে আসা অতিথি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ সুধীজনরা উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন: আজ মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া এ দিন বিকেল সাড়ে তিনটায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে মালদ্বীপের প্রধান বিচারপতি উজ. আহমেদ মুথাসিম আদনান প্রধান অতিথি, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সভাপতি এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি করে ৩৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। একই বছর ১৭ এপ্রিল থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত এই কমিটি বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করে। জনগণের মতামত সংগ্রহের জন্য মতামত আহবান করা হয়। সংগৃহীত মতামত থেকে ৯৮টি সুপারিশ গ্রহণ করা হয়। ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশনে খসড়া সংবিধান বিল আকারে উত্থাপন করা হয়।
এরপর ১৯৭২ সালের এই দিনে গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয় এবং ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর (বিজয় দিবস) থেকে কার্যকর হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর গতবছর এই দিবসটি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়েছে। গতবছর থেকেই রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপিত হচ্ছে ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’। দিবসটি উপলক্ষে প্রতিবছর প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দেন।
বাংলাদেশের সংবিধানে ১৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে। প্রতিটি অনুচ্ছেদের বক্তব্য স্বয়ংসম্পূর্ণ। কিন্তু সংবিধানে এমন কিছু কিছু অনুচ্ছেদ রয়েছে সেগুলো অন্যান্য অনুচ্ছেদের সঙ্গে মিলিয়ে পাঠ করতে হয়। বাংলাদেশের সংবিধান এখন পর্যন্ত ১৭ বার সংশোধিত হয়েছে।
গণপরিষদে সংবিধানের ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, এই সংবিধান শহীদের রক্তে লিখিত, এ সংবিধান সমগ্র জনগণের আশা-আকাঙ্খার মূর্ত প্রতীক হয়ে বেঁচে থাকবে।