কিছু শিক্ষক নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি  © সংগৃহীত

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নোট গাইড ব্যবসায়ী ও কোচিং বাণিজ্যে জড়িত কিছু শিক্ষক নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। বাণিজ্য বন্ধ হবে এমন আশঙ্কা করেই তাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বলে জাতীয় সংসদে অভিযোগ করেছেন তিনি। রবিবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় সংসদে ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় বিলের সংশোধনী প্রস্তাবের আলোচনায় এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যারা কোচিংয়ে ব্যস্ত থাকেন, কোচিং ব্যবসায়ীরা এটাকে বিকৃত করার জন্য, তারা কিছুটা এটা করেছেন। শহরের কিছু বিদ্যালয় এটা করছে। তাদের কড়া নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। বাচ্চারা স্কুলে পিকনিক করে রান্না শিখবে। এই রান্নার মধ্যে খাদ্য পুষ্টি...এই রান্না করাটাও যে একটা আর্ট। এর মধ্যে একটি পরিমিতিবোধ থাকতে হয়। অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়—তার সবকিছুই (শিক্ষার্থীরা) শিখবে। আমরা কি পিকনিক করিনি? কাজেই এটা একটা অপপ্রচার করা হচ্ছে। বাড়ি থেকে রান্না করে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার কোনো নির্দেশনা নেই। যারা করছেন তাঁরা এটা প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য করছেন।’ 

মন্ত্রী বলেন, ‘আর্ট পেপার কিনতে হবে...ব্যয়বহুল, এটাও না বোঝার ফল। আর্ট পেপার মোটেও কিনবার কথা নয়। বাড়ির পুরোনো খবরের কাগজ, ক্যালেন্ডার ইত্যাদি ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। এটাও কিছু শিক্ষক ইচ্ছাকৃতভাবে করাচ্ছেন। আর মোরগ পালন মোটেই করতে হবে না। এখানেও একটি বিভ্রান্তি তৈরি করা হয়েছে।’ 

আন্দোলনকারীদের পেছনে কতিপয় শিক্ষকদের জড়িত থাকার অভিযোগ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কয়েক জায়গায় মানববন্ধন দেখেছি। আমরা তদন্ত করেছি। সেখানকার স্কুলগুলো জানিয়েছে এই অভিভাবকেরা তাদের অভিভাবক নন। অনেকে কোন অভিভাবকও নয়। এটা হলো মূলত কোচিং ব্যবসায়ী ও নোট গাইড ব্যবসায়ী। তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছে, তাদের ব্যবসা হয়তো উঠে যাবে। হাতেকলমে লিখে লিখে পরীক্ষা রাখার অর্থই হচ্ছে আমরা কোচিং ব্যবসাটা চালু রাখতে চাই।’ 

নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা পদ্ধতি রাখা হয়নি—এ বিষয়টি একেবারেই সত্য নয় উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘আগে কেবল ষাণ্মাসিক ও বার্ষিক পরীক্ষা হতো। এখন বরং ধারাবাহিক মূল্যায়ন হয়। প্রতিদিন শিক্ষার্থী কী শিখছে, সে কেমন করে শিখছে, সক্রিয় অংশগ্রহণ করছে কী না—তার সবকিছুর মূল্যায়ন হয়। সেই মূল্যায়ন নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে...এ জন্য অ্যাপস তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষকেরা এটি সহজে করতে পারবেন। এখন ম্যানুয়ালি করতে হচ্ছে বলে একটু সমস্যা হচ্ছে।’ 

নতুন শিক্ষা কার্যক্রমে বাড়ি থেকে রান্না করে আনা, মোরগ পালন, দাবি আট পেপার কেনা ইত্যাদির মতো অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ক্ষোভ জানিয়ে আসছেন অভিভাবকেরা। এ নিয়ে মানববন্ধনও হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence