চার বছরেও শেষ হয়নি ভবনের কাজ, ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান
- নেত্রকোনা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:২৯ PM , আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৫৬ PM
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ও নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের ভরাপাড়া কামিল মাদ্রাসার চারতলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ কাজ দুই বছরে শেষ করার কথা থাকলেও চার বছরেও শেষ হয়নি।
এতে করে একদিকে যেমন ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে অপর দিকে মাদ্রাসা মাঠে ভবন নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখার করণে প্রায় চার বছর ধরে মাদ্রাসা মাঠে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত ও বার্ষিক খেলাধুলা বন্ধ রয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মাঝে।
জানা যায় ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নেত্রকোনা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় দরপত্র আহবান করে। দরপত্রে ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা প্রাক্কলিত মূল্যে কাজটি পায় মো. ইউনুস এন্ড ব্রাদারস কোম্পানী। যথা সময়ে কাজ শুরু করলেও পরবর্তী সময়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ও উদাসীনতার করণে দুই বছরের কাজ চার বছরেও শেষ হচ্ছে না।
মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মাজহারুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল ২-৩ বার ভবন নির্মাণ কাজটি পরিদর্শন করে কাজটি দ্রুত গতিতে শেষ করার জন্য ঠিকাধারকে তাগিদ দিয়েছেন। কিন্তু চারতলা বিশিষ্ট ভবনের নির্মাণ কাজটি নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিতে দুই বছরের কাজ চার বছরেও শেষ হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এই ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত ১ হাজার ২০০ ছাত্র-ছাত্রীর পাঠদান কার্যক্রম নিয়ে আমরা বিপাকে আছি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি শেষ করে দেওয়ার জন্য কয়েকবার সময়সীমা নির্ধারণ করলেও কাজের কাজ তেমন এগুচ্ছেনা। ভবন নির্মাণ সামগ্রী মাদ্রাসার মাঠে ফেলে রাখায় চার বছর ধরে মাদ্রাসা মাঠে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত ও বার্ষিক খেলাধুলা বন্ধ রয়েছে।
ভবন নির্মাণ কাজ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এসোসিয়েট প্রোপাইটার মিজানুর করিম খান জানান, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে এই কাজটি ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকার মূল্যে শুরু করি। কিন্তু করোনার কারণে অনেক দিন কাজ বন্ধ ছিল। নির্মাণ সামগ্রির মূল্যও বেড়েছে অনেক। তাছাড়া আমিও লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত ছিলাম এক বছর। যে কারণে কাজটি যথা সময়ে শেষ করতে পারিনি। তিনি বলেন নেত্রকোনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল কাজ পরিদর্শন করে কাজটি শেষ করার জন্য আমাকে বিশেষ তাগিত দিয়েছেন। আমি তাঁকে কথা দিয়েছি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কাজটি শেষ করে দেব। যদিও মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন করেছি।
তিনি আরও বলেন, প্রাক্কলিত মূল্য থেকে টাকা বৃদ্ধির জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছে। আশা করি কাজটি সম্পূর্ণ শেষ করলে ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার মতো বিল পেতে পারি।
নেত্রকোনা নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী বিশ্বজিত কুমার দাস বলেন, করোনাসহ নানা কারণেই কাজটি যথাসময়ে শেষ হয়নি। তবে ঠিকাদারে প্রতিষ্ঠানকে অতিদ্রুত কাজটি শেষ করার জন্য তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। ঠিকাদার মিজানুর করিম খান কথা দিয়েছেন ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজটি শেষ করে দেবেন।