আলু-ডিম নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে ২৪ বিশিষ্ট নাগরিকের উদ্বেগ
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৫৯ PM , আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৬ PM
দেশের বাজারে আলু-ডিমসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ২৪ বিশিষ্ট নাগরিক। তাঁরা বলেছেন, খাদ্যপণ্যের দাম অসহনীয় অবস্থায় চলে গেছে। এ ব্যাপারে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার অচিরেই কার্যকর ব্যবস্থা নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তাঁরা। আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগের কথা বলেন তাঁরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারের মতে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ এ চলমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী এবং ব্যবসায়ীদের মতে, ডলার–সংকটের ফলে এমন সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। বহু দেশে যুদ্ধের কারণে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল এবং অধিকাংশ দেশে তা সত্ত্বেও মুদ্রানীতি, ব্যয় সংকোচন ও বাজার ব্যবস্থায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে বলে তাঁরা মনে করেন। আমরা লক্ষ করছি যে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি কমাতে সক্ষম হয়নি। বস্তুতপক্ষে, উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থাপনায় সরকার কার্যকর ব্যবস্থাপনা নিতে সমর্থ হচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে যে উৎপাদন, পাইকারি ও খুচরা বাজারে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে এবং তারাই বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণ করছে। এক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, এমনকি তাদের গৃহীত পদক্ষেপও বাস্তবায়নে সমর্থ হচ্ছে না।
বিবৃতিদাতারা জানান, ‘এ পরিস্থিতি কোনো অবস্থায় কাম্য নয়। আমরা একান্তভাবে প্রত্যাশা করি, সরকার প্রয়োজনে সামাজিক শক্তির সহায়তায় এই দুর্বিষহ পরিস্থিতি উত্তরণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিশেষ করে মাছ, মাংস, ডাল, পেঁয়াজ, ডিম, আলুসহ পণ্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনবে।’
বিবৃতিদাতারা আরও বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে প্রায় এক বছর ধরে খাদ্যপণ্যসহ সার্বিক মূল্যস্ফীতি অসহনীয় পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। সরকারী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আর সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। এ পরিস্থিতিতে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের পক্ষে জীবন ধারণ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ডিম ও মাংসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে আমিষ–জাতীয় খাদ্যাভাব পুষ্টির ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।’
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন সুলতানা কামাল, রাশেদা কে চৌধূরী, রামেন্দু মজুমদার, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ডা. সারওয়ার আলী, অধ্যাপক এম এম আকাশ, ট্রাস্টি নুর মোহাম্মদ তালুকদার, খুশী কবির, রানা দাশগুপ্ত, রোবায়েত ফেরদৌস, জোবায়দা নাসরিন, সেলু বাসিত, আর এম দেবনাথ, অসিত বরন রায়, আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, সালেহ আহমেদ, এ কে আজাদ, পারভেজ হাসেম, জহিরুল ইসলাম জহির, জাহাঙ্গীর আলম, অলক দাস গুপ্ত, আবদুল ওয়াহেদ, আব্দুর রাজ্জাক ও গৌতম শীল।