বিয়ের দাবিতে সহপাঠীর বাড়িতে প্রেমিকার অনশন
- ভোলা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৩, ০৭:৪৮ PM , আপডেট: ১৫ জুন ২০২৩, ০৭:৪৮ PM
ভোলার চরফ্যাশনে বিয়ের দাবিতে সহপাঠী প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করেছেন অনার্স পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানাধীন চরমানিকা ইউনিয়ন চরকচ্ছপিয়া গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। অনশন শুরুর পর থেকেই পলাতক রয়েছেন প্রেমিক শাকিল।
অনশনকারী ছাত্রী বলেন, আমার সাথে একই ক্লাসের সহপাঠী চরকচ্ছপিয়া গ্রামের আলমগীর হাওলাদারের ছেলে মো. শাকিলের সঙ্গে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। প্রেমের একপর্যায়ে সে মাঝে মধ্যে আমার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতো। বেশ কয়েকবার আমাদের বাড়িতেও যায় এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে প্রেমিক শাকিল হাওলাদার তাকে তার বাড়িতে দেখা করতে বলে। এসময় তিনি শাকিলকে বাসায় গিয়ে না পেয়ে তার বাবার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে যান এবং সেখানে তাকে পান। পরে শাকিলের সাথে কথাবার্তার এক পর্যায়ে বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর তিনি শাকিলের বাড়িতে অনশন শুরু করেন।
আরো পড়ুন: অল্প বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় শাবিপ্রবির বেশিরভাগ এলাকা
অনশনরত ছাত্রী বলেন, আমার সহজ সরলতার সুযোগে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সহপাঠী শাকিল হাওলাদার আমার সব শেষ করে দিয়েছে। বাড়িতে ডেকে এনে সে এখন তার পুরো পরিবার নিয়ে পালিয়ে গেছে। আমাকে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পাঁয়তারাও করা হচ্ছে। সহপাঠী শাকিল হাওলাদার যদি আমাকে বিয়ে না করে আমার আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনো পথ নেই।
এদিকে, অভিযোগ উঠেছে, অনশন করার সময় মেয়েটিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন সহপাঠী প্রেমিক শাকিল হাওলাদার।
অনশনকারী কলেজছাত্রীর নানা জানান, আমার নাতিনকে বাড়ি থেকে বের করার জন্য নানাভাবে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে তার পারিবারের লোকজন। আমার নাতিনের নিরাপত্তা নিয়েও আমরা এখন শঙ্কিত।
এ বিষয়ে স্থানীয় চরমানিকা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমিন হাওলাদার জানান, বিষয়টি শুনে উভয় পক্ষকেই নিয়েই মীমাংসার চেষ্টা চলছে।
দক্ষিণ আইচা থানার (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ঘটনাটি জানার পর ওই ছাত্রীকে লিখিত অভিযোগ দাখিল করতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।