শিক্ষার্থীদের মেধার পরিপূর্ণ বিকাশে সবাইকে পাশে দাঁড়াতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী 

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি  © সংগৃহীত

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের মেধার পরিপূর্ণ বিকাশে শিক্ষক, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে পাশে দাঁড়াতে হবে। যার যে বিষয়ের প্রতি দক্ষতা ও ঝোঁক রয়েছে তাদেরকে সেদিকে উৎসাহিত করতে হবে। 

সোমবার (১৫ মে) রাজধানীর সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২০ এর জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারা দেশে তৃণমূল পর্যায়ে যত শিক্ষার্থী আছে সবার কার কোন দিকে মেধা রয়েছে কার কোন দিকে ঝোঁক রয়েছে কোন দিকে সৃজনশীলতা রয়েছে সেগুলো খেয়াল করে যত্ন নিতে হবে। তাকে আরেকটু সামনে এগিয়ে দেওয়ার জন্য প্রতিবন্ধকতা গুলোকে দূর করে পাশে একটু দাঁড়াতে হবে। 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যে কোন জাতির উন্নয়নের জন্য শিক্ষা একেবারেই আবশ্যিক একটি বিষয়। কারণ যেকোনো দেশ গড়ে তোলার জন্য  সমৃদ্ধ করার মূল চালিকা শক্তি হলো শিক্ষা। একইসাথে একটি দেশ কত উন্নত হবে কতটা সমৃদ্ধশালী হবে সেটাও নির্ভর করে সে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা উপর।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

আমাদের একেবারেই অতি প্রাচীন যে শিক্ষার ব্যবস্থা ছিল সেখানে গুরুর কাছ থেকে তার শীর্ষ শিক্ষা গ্রহণ করতেন। সেখানে শিক্ষার্থী জীবনমুখী শিক্ষার বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। দেখে শেখা, কাজ করে শেখা এবং যা শিখছে তার চর্চা করা, প্রয়োগ করা এ বিষয়গুলো অতি প্রাচীন শিক্ষা ব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল।

বঙ্গবন্ধু প্রণীত প্রথম শিক্ষা ব্যবস্থার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন এখনকার নতুন শিক্ষা ব্যবস্থায় করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা উপনিবেশিক শাসন শোষণের শিকার হয়ে শিক্ষা ব্যবস্থায়ও উপনিবেশবাদের শিকার হয়েছি। শিক্ষার গুণগত মান বলতে আমরা যা বুঝি সেগুলো আমাদের সেই অতি প্রাচীন শিক্ষা ব্যবস্থায় যেমন ভাবে ছিল আবার উপনিবেশবাদী শিক্ষা ব্যবস্থায় সেটি তেমন ছিল না।

বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরে জাতির পিতা বলেছিলেন ‘উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা হল কেরানি পয়দা করা শিক্ষা ব্যবস্থা’। তাই বঙ্গবন্ধুর দিক নির্দেশনায় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছিলেন ড. কুদরত-ই-খুদা। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সেই শিক্ষা নীতি বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। 

071ff23e-150c-43c0-bcc8-41dd07164b78

আবার ২০১০ সালে এসে বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতে আমরা নতুন আরেকটি শিক্ষানীতি পেয়েছি। যেটি সেই প্রচলিত কুদরত-ই-খোদার শিক্ষা কমিশনকে অনুসরণ করা হয়েছে। নতুন এই শিক্ষা ব্যবস্থায় রূপান্তরের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) অধ্যাপক ড. প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence