তালগাছ হত্যার শাস্তি, আ.লীগ নেতাকে দাড়িয়ে থাকতে বললেন হাইকোর্ট
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৩:৫৫ PM , আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:০৭ PM

কীটনাশক প্রয়োগের মাধ্যমে তালগাছ মেরে ফেলার অভিযোগে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আদালতে দাঁড়িয়ে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর বাগমারায়।
অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা শাহরিয়ার আলম ওই উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি বাইগাছা এলাকায় কীটনাশক প্রয়োগের মাধ্যমে ৫০টি তালগাছ মেরে ফেলেছেন।
তলব আদেশে হাজির হওয়ার পর শাহরিয়ার আলমের বক্তব্য শুনে রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় সরকারি সড়কের পাশে লাগানো অর্ধশত তালগাছ মারতে অভিনব কায়দায় কীটনাশক প্রয়োগের অভিযোগ ওঠে শাহরিয়ার আলমের বিরুদ্ধে। একটি জাতীয় দৈনিকে এ বিষয়ে সম্পাদকীয় প্রকাশ হলে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে আজ রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
পাশাপাশি ৫০টি তালগাছ মেরে ফেলতে কীটনাশক প্রয়োগের জন্য কেন শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাসহ পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ নিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেন আদালত। মামলার বিবাদীদের সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
শুনানিকালে আদালত বলেন, ‘বিষয়টি খুব মর্মান্তিক। মানুষ কত নিষ্ঠুর হতে পারে!’ এছাড়া, বিষয়টি বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কৃষি কর্মকর্তা যৌথভাবে সরেজমিন তদন্ত করবেন। তারা উল্লেখিত গাছগুলোর ছবিসহ প্রতিবেদন আগামী সাত দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করবেন। প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাগমারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে আদালতে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, প্রায় এক দশক আগে স্থানীয় এক বৃদ্ধসহ কয়েকজন ব্যক্তি সড়কের উভয় পাশে প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তালবীজ লাগিয়েছিলেন। সেসব তালগাছ বড় হয়ে এখন ছায়া দিচ্ছে। সম্প্রতি সেই গাছগুলো মারতে বাকল তুলে সেখানে কীটনাশক প্রয়োগ করেন শাহরিয়ার আলম নামের স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা।