অ্যাডওয়ার্ড কেনেডিকে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার’ সম্মাননা

অ্যাডওয়ার্ড কেনেডিকে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার’ সম্মাননা
অ্যাডওয়ার্ড কেনেডিকে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার’ সম্মাননা  © সংগৃহীত

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মহান অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়াত মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডি সিনিয়রকে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, ‘আজ এডওয়ার্ড এম. কেনেডি সিনিয়রকে (মরনোত্তর) তার যোগ্য পুত্র এডওয়ার্ড এম টেড কেনেডি জুনিয়রের হাতে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ তুলে দিতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।’

শেখ হাসিনা সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে টেড কেনেডি জুনিয়র ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্মানে আয়োজিত এক নৈশভোজে সংক্ষিপ্ত ভাষণে একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী সংক্ষিপ্ত ভাষণে বলেন, ‘১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এডওয়ার্ড এম কেনেডি সিনিয়রের বাংলাদেশ সফর আমাদের জনগণকে যেভাবে উৎসাহিত করেছিল আজকে আপনাদের সফরও আমাদেরকে সেভাবে উৎসাহিত করেছে। 
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের ক্রিস্টাল বলরুমে এই নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে টেড কেনেডি জুনিয়রের প্রয়াত পিতা মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড এম. কেনেডি সিনিয়রের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তার হাতে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশর ওয়ার অনার’ পদক তুলে দেন।
এর আগে রোববার সকালে কেনেডি জুনিয়র, তার পত্নী ক্যাথরিন কেনেডি, মেয়ে কাইলি কেনেডি এবং ছেলে টেডি কেনেডি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তিনি বাংলাদেশের মানুষকে উজ্জীবিত করেছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে স্বাধীন করার জন্য।

আরও পড়ুন: বিশ্ব বাজারে তেলের দাম আরও কমল

তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়লাভ করা সত্ত্বেও পাকিস্তানের শাসনভার কোন বাঙালির হাতে যাবে এটা পাকিস্তানের শাসকরা কখনো মেনে নেয়নি। আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্বাচনে সমগ্র পাকিস্তানে সংখ্যা গরিষ্ঠ আসন পান। কিন্তু পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি বরং নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তাঁকে গ্রেফতার করে এবং অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। বাঙালি থেমে থাকেনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার ৭ মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণ ‘যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শক্রুর মোকাবিলা করতে হবে,’ - বাঙালি তাই করেছিল। পাকিস্তানীদের অত্যাচারে প্রায় ১ কোটির ওপর শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নেয়। সেই রিফিউজি ক্যাম্পে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন যখন তারা করতো তখন ছুটে এসেছিলেন টেড কেনেডি। তিনি ছুটে এসেছিলেন বাঙালির কাছে। ঐ রিফিউজি ক্যাম্পগুলো তিনি ঘুরে ঘুরে দেখেছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, কেনেডি সিনিয়র মানুষের দুঃখ, কষ্ট উপলদ্ধি করেছিলেন। তখনই তিনি পদক্ষেপ নেন এবং সিনেটে (মার্কিন) এ বিষয়ে তিনি কথা তোলেন এবং আমেরিকা যে পাকিস্তানীদের পক্ষ নিয়েছে, অস্ত্র দিচ্ছে বা অর্থ দিচ্ছে তার বিরোধিতা করেন এবং তিনি দ্বার্থহীন কন্ঠে বলেন, মুক্তিকামী বাঙালিদের পাশে আমেরিকার থাকা উচিত। তাদের মানবাধিকারের জন্য থাকা উচিত। যেটা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক বেশি অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল। অনেক বেশি সাহস যুগিয়েছিল।

তিনি বলেন, আমেরিকা সরকারের কিছু অংশ হয়তো আমাদের সমর্থন করেনি কিন্তু অধিকাংশ আমাদের বাঙালিদের সমর্থন করে এবং জনগণ আমাদের সমর্থন করেন। কাজেই আওয়ামী লীগ সরকারের আসার পর সেই ২০০৯ সাল থেকে যারা আমাদের বন্ধুপ্রতীম বিদেশি তাদেরকে আমরা সম্মান জানানোর চেষ্ট করেছি।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence