ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যা
আসামিপক্ষে দাঁড়ানোয় সমালোচনার মুখে বিএনপিপন্থি আইনজীবী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫৪ PM , আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫০ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলায় আসামির পক্ষে দাঁড়ানোয় সমালোচনার মুখে পড়েছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবী আমানুল করিম লিটন। সোমবার (২৮ জুলাই) ঢাকার মহানগর হাকিম সারাহ ফারজানা হকের আদালতে রিমান্ড শুনানিতে এ ঘটনা ঘটে।
আদালতে সাম্য হত্যা মামলার তিন আসামি— শরবতের দোকানদার মেহেদী হাসান ও রিপন এবং চা দোকানদার হৃদয় ইসলামকে চারদিন করে রিমান্ড নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের রমনা বিভাগের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক আখতার মোর্শেদ। রাষ্ট্রপক্ষে আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন শামছুদ্দোহা সুমন। অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন আমানুল করিম লিটন, ইলিয়াস খান ও রাকিবুল হাসান সুমন
আমানুল করিম লিটন শুনানি করেন মেহেদী হাসানের পক্ষে। শুনানিতে তিনি বলেন, রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে সঠিক নাম-ঠিকানার জন্য। তার মা আর স্ত্রী আদালতে হাজির আছেন। তাদের কাছ থেকেও সঠিক নাম-ঠিকানা জানতে পারেন প্রয়োজনে। এ বিষয়ে তাকে রিমান্ডে নিয়ে অহেতুক হয়রানি ছাড়া আর কিছু না। তাকে বিভিন্ন সময় রিমান্ডে নিয়েও কোনো তথ্য উদঘাটন হয়নি। রিমান্ড বাতিল চেয়ে যেকোনো শর্তে তার জামিনের প্রার্থনা করছি।
এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আরেক আইনজীবী কাইয়ুম হোসেন নয়নের তোপের মুখে পড়েন আমানুল করিম লিটন। তিনি বলেন, আমানুল করিম লিটন ভাইকে বিএনপির বিভিন্ন ব্রিফের সময় দেখেছি। বিএনপির সব জায়গায় (আদালতের) তাকে দেখেছি। এটা ছাত্রদল হত্যা মামলা। আর উনি হত্যাকারীদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। তবে এর কোনো উত্তর দেননি আমানুল করিম লিটন।
শুনানি শেষে আদালত রিপনের একদিন এবং অপর দুই আসামি মেহেদী হাসান ও হৃদয়ের দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, গত ১৩ মে রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শাহরিয়ার আলম সাম্যকে ছুরিকাঘাত করে একদল দুর্বৃত্ত। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় রাত ১২টার দিকে সহপাঠীরা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন।