শেকৃবিতে ফসলের জাত ‘সাউ কিনোয়া-১’ উদ্ভাবন
- মো.আরাফাত রহমান অভি
- প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২০, ১০:১৪ AM , আপডেট: ০৩ মে ২০২১, ০৩:০৯ PM
নতুন এক ফসলের জাত ‘কিনোয়া-১’ উদ্ভাবন করেছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি)। যার নেতৃত্বে ছিলেন শেকৃবির কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস। শর্করা, প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর সুপারফুড ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। কিনোয়া দানা পুষ্টি সমৃদ্ধতার কারণে ইতোমধ্যে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা স্বীকৃতি দিয়েছে।
কিনোয়া বৈজ্ঞানিক নাম Chenopodium quinoa ফসলটি Amaranthaceae পরিবারভূক্ত একটি দানাশস্য। এতে রয়েছে ১৪ থেকে ১৮ শতাংশ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রণ, জিংক, কপার, ফসফরাস, পটাশিয়াম এবং ম্যাঙানিজ। রয়েছে সকল প্রকার প্রয়োজনীয় এমাইনো এসিড।
জাতীয় বীজ বোর্ড (এনএসবি) অনিয়ন্ত্রিত ফসলের জাত নিবন্ধনের আওতায় উদ্ভাবিত এ জাতটি নিবন্ধন দিয়েছে। সাউ কিনোয়া-১ (SAU-Quinoa-1) নামে নতুন এ জাতটি নিবন্ধিত হয়। জাতটির নিবন্ধ নম্বর ০৫(৪৬)-০১/২০২০।
এ বিষয়ে ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস জানান, প্রান্তিক পর্যায়ে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের জন্য এখনো বীজ সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। কিছুটা সময় লাগবে। উপকূলীয় এলাকার লবণাক্ত ও খরা অঞ্চলসহ সারাদেশে রবি মৌসুমে এ ফসলটি চাষ করা সম্ভব বলেও তিনি জানান।
ফসলটির পুষ্টি সমৃদ্ধতার কারণে খ্রীষ্টপূর্ব ৫০০০ বছর পূর্ব থেকেই ল্যাটিন আমেরিকাভূক্ত দেশে দানা, ফ্লেক্স, পাস্তা, রুটি, বিস্কুট, বেভারেজ হিসেবে কিনোয়া ব্যবহার করে আসছে। বর্তমানে উত্তর আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালী, সুইডেন, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, চীন, থাইল্যান্ড, ভারতসহ ৯৫ টিরও অধিক দেশে কিনোয়া চাষাবাদ হচ্ছে।