সফটওয়্যারের মাধ্যমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২০, ০৮:০৮ PM , আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২০, ০৮:০৮ PM
চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগুলো সফটওয়্যারের মাধ্যমে নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। অনার্স চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের অসমাপ্ত পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেয়া হবে বলে জানা গেছে। শনিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপাচার্যদের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, চলমান পরিস্থিতিতে ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা অনলাইনে নেয়ার বিষয়ে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা একমত পোষণ করেছেন। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুনাজ নূরের উদ্ভাবিত ‘‘প্রোটেক্টেড রিমোট এক্সামিনেশন’’ নামক সফটওয়্যার ব্যবহার করা হতে পারে। এই সফটওয়্যারের প্রাথমিক প্রদর্শনীতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভিসিরা। খুব শিগগিরই নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা কমিটি এই সফটওয়্যারের কার্যকারিতা যাচাই করবে। সেই কমিটি অনুমোদন দিলে পরবর্তীতে এটি চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বৈঠকে উপস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শনিবার রাতে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, করোনা পরিস্থিতি শুরুর পর বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষা আটকে যায়। বিশেষ করে অনার্স চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বন্ধ থাকায় তারা বিপাকে পড়েন। তাদের অসমাপ্ত পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেয়ার ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত সফটওয়্যারটি ব্যবহারের বিষয়ে আমরা আগ্রহ দেখিয়েছি।আমাদের একাডেমিক কাউন্সিল চূড়ান্ত অনুমোদন দিলে আমরা এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিবো।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য মীজানুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উদ্ভাবিত সফটওয়্যার ব্যবহার করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের অসমাপ্ত পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ে কাজ করা কমিটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এটি চূড়ান্ত ভাবে ব্যবহারের অনুমতি দেবে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফায় ছুটি বাড়িয়ে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে আসন্ন শীতে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার শঙ্কা থাকায় এই ছুটি আরও বাড়তে পারে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।