ঘনিষ্ঠ মেলামেশার কারণেই কি মাঙ্কি পক্সের সংক্রমণ ঘটছে?

মাঙ্কিপক্স
মাঙ্কিপক্স

কোভিডের ক্ষেত্রে গোটা পৃথিবীতে বিপর্যয় নেমে এসেছিল। ধনী-দরিদ্র সব দেশেই মৃত্যুমিছিল। কিন্তু মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রে ছবিটা কিছুটা আলাদা। আফ্রিকা মহাদেশে ইতিমধ্যেই মহামারী ঘোষণা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতি হিসেবে দেখা হচ্ছে এই সংক্রমণকে।

কিন্তু ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও অন্য দেশগুলিতে মাঙ্কিপক্সের তুলনায় কম ক্ষতিকারক রূপটি দেখা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার কিছু অংশে মাঙ্কি পক্স কয়েক দশক ধরেই রয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় পশুদের থেকে মানুষের দেহে সংক্রমণ ঘটতে দেখা যায়। ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও অন্য দেশগুলিতে গত মে মাস থেকে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ দেখা গিয়েছে, যা মূলত যৌনমিলনের ফলেই ঘটছে।

আরও পড়ুন: রেলওয়ের সঙ্গে যেভাবে কাজ করবেন মহিউদ্দিন রনি

এই বিষয় হু-এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক প্রধান জানিয়েছেন, এই ভাইরাস মূলত ঘনিষ্ঠ শারীরিক সম্পর্ক ও যৌনমিলনের মাধ্যমেই মানবদেহে ছড়িয়ে পড়ছে। তা ছাড়া মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত কোনও ব্যক্তির চামড়ার কোনও অংশ যদি কোনও বস্তু যেমন বিছানা, বৈদ্যুতিন যন্ত্র, জামাকাপড় ইত্যাদির উপর পড়ে, সেই জিনিসগুলি ব্যবহার করলেও ব্যক্তি সংক্রমিত হতে পারেন।

নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, যে মাঙ্কি পক্স ভাইরাস সংক্রমণের ৯৫ শতাংশ যৌন কার্যকলাপের মাধ্যমে ঘটছে। এই সমীক্ষা আরও জানাচ্ছে যে,সমকামী ও উভকামী পুরুষদের মধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

সমকামীদের অনেকেই নিজেদের যৌন পরিচয় গোপন রাখতে চান। এদের অনেকে বিবাহিত। স্ত্রী আছেন, পরিবার আছে। তারাও কেউ ওই ব্যক্তির যৌন পরিচয় সম্পর্কে জানে না। ফলে অনেকেই রোগ চেপে যাচ্ছেন। রোগ পরীক্ষা করাতে রাজি হচ্ছেন না। এর ফলে সংক্রমিতকে চিহ্নিত করা কঠিন হচ্ছে। তা ছাড়া, এ সব ক্ষেত্রে শরীরে ঘা কম হচ্ছে, হলেও যৌনাঙ্গে। অনেকেই ঢেকে রাখছেন, কাউকে না জানালে বোঝাও যাচ্ছে না। ফলে অজান্তেই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।


সর্বশেষ সংবাদ