সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না এলে ১ সপ্তাহে করুণ পরিস্থিতির আশঙ্কা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২১, ০৬:৩৪ PM , আপডেট: ১১ জুলাই ২০২১, ০৬:৩৪ PM
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না এলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি করুণ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজ রোববার দুপুরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন এই আশঙ্কার কথা জানান।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর যে ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন আছে তার মাধ্যমে মৃত্যু শুধু বয়স্ক মানুষের হচ্ছে না, তরুণদেরও হচ্ছে। বিভাগ ওয়ারী বিভিন্ন স্থানে আমরা দেখেছি, সব জেলাতেই কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়েছে এবং সংক্রমণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে। সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে।
করোনা পরিস্থিতির ঊর্ধ্বগতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ঢাকা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা ৭০ জন, চট্টগ্রামে ২০ জন ও রাজশাহীতে ১৩ জন, খুলনায় ৫১ জন মারা গেছেন। শনাক্তের হার ঢাকায় ৪৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, খুলনায় ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ।
ডা. রোবেদ আমিন আরও বলেন, গত মাসে সারা দেশে সংক্রমণের হার অনেক বেশি ছিল। জুন মাসে এক লাখ ১২ হাজার ৭১৮ জন রোগী সংক্রমিত হয়েছেন। শুধু জুলাইয়ের প্রথম ১০ দিনে প্রায় এক লাখ রোগীকে সংক্রমিত হতে দেখতে পেয়েছি।
পড়ুন: কারিগরি কমিটি পরামর্শ দিলে বাড়তে পারে বিধিনিষেধ
তিনি বলেন, আমরা যেভাবে সংক্রমিত হচ্ছি, হাসপাতালে রোগীর চাপ যদি বাড়তেই থাকে আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে হাসপাতালের শয্যা আর খালি থাকবে না। সারাদেশে গত মাসেও অসংখ্য বেড খালি ছিল, আইসিইউ বেড খালি ছিল। সেই খালি বেডের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। সারাদেশে মাত্র ৩০০ এর মতো কোভিড-১৯ আইসিইউ বেড খালি আছে।
এখনি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কা করে তিনি বলেন, আমরা লক্ষ করেছি, জরুরি প্রয়োজন ছাড়াও অনেকে বাইরে বের হচ্ছেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যদি আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি, পরিস্থিতি অত্যন্ত করুণ হয়ে যাবে।
পড়ুন: গ্রামের মানুষ করোনাকে স্বাভাবিক জ্বর-সর্দি ভাবছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৮৭৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৯ হাজার ৮৬০ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৪০ হাজার ১৫টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৯ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ।