নতুন বেতন নির্ধারণে ৬ সদস্যের পরিবার, দুই সন্তানের পড়াশোনাসহ যেসব বিষয় বিবেচনা করা হবে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫০ PM , আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫০ PM
নতুন জাতীয় বেতন কাঠামো প্রণয়নে জীবনযাত্রার ব্যয় ও দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক বাস্তবতা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করতে গঠিত পে-স্কেল কমিশনকে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জীবনমান, দায়িত্ব এবং ব্যয়ের প্রকৃত চিত্র বিশ্লেষণ শুরু করেছেন তারা বলে জানা গেছে।
কমিশন সূত্র জানিয়েছে, পিতা-মাতা সহ ছয়জনের একটি পরিবারের মৌলিক চাহিদা পূরণের উপযোগী আয় কাঠামো গঠনের লক্ষ্য নিয়েই কাজ করা হচ্ছে। এতে একজন সরকারি কর্মচারী যেন সম্মানজনকভাবে পরিবার নিয়ে জীবনযাপন করতে পারেন, সেই বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছে।
নতুন বেতন কাঠামোর সুপারিশ প্রণয়নকালে কমিশনকে পিতা-মাতাসহ অনূর্ধ্ব ছয়জনের একটি পরিবারের জীবনযাত্রার ব্যয়; অনূর্ধ্ব দুই সন্তানের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়; দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সরকারের সম্পদ পরিস্থিতি, প্রশাসনিক ও নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য সম্পদের প্রয়োজনীয়তা; সংশ্লিষ্ট সংস্থা/প্রতিষ্ঠানসমূহের আয়-ব্যয়ের অবস্থা; দারিদ্র্য নিরসনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সম্পদ জোগান ও সমন্বয়ে অনির্ভরতা অর্জনের উপায়। জনপ্রশাসনে মেধাবী ও দক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ এবং কর্মকর্তা কর্মচারীগণের দক্ষতা ও কর্মোদ্যোগ বৃদ্ধি করে সেবার মান উন্নয়নের বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হবে।
এর আগে গতকাল রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নতুন পে স্কেলের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন—২০১৮ এর ধারা ১৫ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত প্রজাতন্ত্রের সকল শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য জাতীয় বেতন কমিশন গঠনার্থে সরকার কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে নিম্নরূপভাবে জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫ করা হলো।
কমিটির পূর্ণকালীন সদস্যরা হলেন সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ আলী খান, সাবেক হিসাব মহানিয়ন্ত্রক মো. মোসলেম উদ্দীন এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. ফজলুল করিম।
এ ছাড়া খণ্ডকালীন সদস্য রয়েছেন সাবেক মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক আহমেদ আতাউল হাকিম, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ জাহিদ হোসাইন, সাবেক সচিব ড. জিশান আরা আরাফুন্নেসা, মেজর জেনারেল (অব.) এ আই এম মোস্তফা রেজা নূর, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. হাবিবুর রহমান, সাবেক গ্রেড-১ কর্মকর্তা মিস তহমিনা বেগম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মাকছুদুর রহমান সরকার, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. শামসুল আলম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রফেসর ড. এ কে এম মাসুদ, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ আতিকুল হক, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ কে এনামুল হক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত সশস্ত্র বাহিনীর একজন প্রতিনিধি, আইন, বিচারও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস প্রেসিডেন্ট, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি বাস্তবায়ন আইন ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন শাখার অতিরিক্ত সচিব।